পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা নবকিশোরের বজ্ৰকণ্ঠের নির্ঘোষে ঘর মেগম করিতে লাগিল। বিপিন পিতার অন্যায় আচরণের প্রসঙ্গে লজ্জিত হইয়া নিরুত্তর হইয়া গিয়াছিল। নবকিশোর উত্তেজনার বোকে একাকীই অনর্গল বক্ততা চাগাইতে পারিত, কিন্তু দরোয়ান গুইখানি চিঠি আনিয়া বাধা জন্মাইল। বিপিন মুক্তিব আনন্দ অনুভব করিল। একখানি চিঠি বিপিনেব, অপরখানি নবকিশোরের ; উভয়ের পিতা লিখিয়াছেন। পত্র পড়া শেষ কবিয়া নবকিশোশ বিপিন্ধের গায়ে পত্ৰখানা ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া গর্জন করিয়া বলিল—এই দেখ আমাদের গৃহলক্ষ্মীদের দুর্দশ ! বিপিন সেই পত্র পড়িয়া দেখিল স্মৃতিরত্ন মঙ্গশয় নবকিশোরকে মালতীর অবস্থা ও আশ্রয়প্রার্থনার ব্যাপাব আগাগোড়া খুলিয়া লিথিয়াছেন । বিপিন এক * দিকে মাতার আচরণে যেমন অত্যন্ত লজ্জিত ও ক্ষুণ্ণ ইইল, অন্ত দিকে তেমনি নিৰ্য্যাতিত খুড়িমা ও তাছার নিরাশ্রয়া বোনঝি মালতীর প্রতি সহানুভূতিতে তাহার মন . ভরিয়া উঠিল। বিপিন • পিতা ও মাতাব সমস্ত অম্ভায় আচরণের কৈফিয়ৎ স্বরূপ কুষ্ঠিত স্বরে বলিল—খুড়িমার বোনঝিকে তোমার সঙ্গে মথুৰাপুরে পাঠিয়ে দেবার জন্তে বাবা আমায় এই চিঠি লিখেছেন । নবকিশোর এ কথায় কান না দিয়া অনর্গল বকিয়া যাইতেছিল—দেখেছ, দেখেছ, আমাদের কাগুথান দেখেছ! আমহী আৰ্য বলে বড়াই করি, কিন্তু কাৰ্য্য করি কশাইয়ের । এই যে মালতী আজ পরের স্রোতের ফুল Ψ) ο Ψ) বাড়ী দাসী হতে চলেছে, এর চেয়ে কি তার বিয়ে হওয়া ভাল নয় ? তুমি আবার বল • কিনা বিধবা-বিবাহ গর্হিত! নবুকিশোবের চক্ষুদ্রটি আবেগে বিস্ফারিত হইয়া উঠিয়াছিল। • বিপিন তাহার উত্তেজনার সম্মুখে সঙ্কুচিত इंद्देश्ल। মৃদ্ধস্বরে বলিল — গর্হিত ঠিক বলিনে ; আমি বলি, বিধবার স্বামীস্মৃতিকে সামনে রেখে ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালনই শ্রেষ্ঠ আদর্শ। —মানি বিধবার সেই শ্রেষ্ঠ আদর্শ, বিপত্নীকেরও আদর্শ সেই রকমই! কিন্তু যে কাজে অন্তর থেকে কোনো প্রেরণা আসে না, শুধু বাইরের চাপে করতে হয়, তেমন ধৰ্ম্মসাধনও যে ব্যর্থ ! আমরা সচেতন ভাবে কি কুিছু করতে জানি ? ধৰ্ম্মবিধি, সমাজবিধি, সবই অন্ধের মতো অভ্যাসের বশে শুধু পালন কবে চলেছি—কারণ এমন না করে অমন কেউ কোনো দিন করে না, বাপ পিতামহের আমল থেকে এমনি ধারা চলে আসছে। আরে, একবার ছাই ভেবেই দেখ, কেন তারা অমন না করে এমন করতেন? ভগবান আমাদের মাথার মধ্যে মগজ বলে এতখানি পদার্থ যে পূবে দিয়েছেন, তা কি শুধু গাধার মতো ভার বহনের জন্তে, কাজে থাটাবার জন্তে একটুও নয় ? পাছে’ বুদ্ধি খরচ করে* দেউলিয়া হয়ে যাই, সেই ভয়ে বাপ-পিতামর সঞ্চিত ধনের সুদের ওপরই আমাদের ভরসা ; তা তাতে আাধপেটাই খাই আর অনাহারে ,মরি, নতুন ব্যাপারে খাটাতে আমাদের সাহসই হয় না ! বিপিন বলিল – তুমি কি মনে কর সমাজের সকল লোকই চিন্তা করে” কাজ