পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo ob. পঞ্চদশ শতাব্দী ও উনবিংশ শতাব্দী — ইহার মধ্যবর্তী কালের ভারতীয় ইতিহাসের স্থল রেখাগুলি নির্দেশ করিতেছি । মোগলের সমস্ত ভাবতকে বশীভূত করিয়াছিল ; এই দ্বিতীয়বার ভারত স্বকীয় ঐক্যসাধন প্রত্যক্ষ কমিল। কিন্তু এই ঐক্যসাধনের কাৰ্য্যটি অতীব ক্ষণস্থায়ী ; যে রাজবংশের ধৰ্ম্ম হিন্দুধৰ্ম্মভাবের বিরুদ্ধ সেই রাজবংশের শাসনাধীনে, বিজিত বিজেতাব মধ্যে মিলন না হইলে, সাম্রাজ্য স্থাপন করা অসম্ভব । তাই মিলনের চেষ্টা হইয়াছিল, কিন্তু এই মিলন স্থায়ী হইল না ; সাম্রাজ্য অন্তর্হিত হইল ; ভারতে আবার অরাজকতা উপস্থিত হইল । ভারতের ঐক,সাধনেব এই দ্বিতীয় চেষ্টার পরিণাম প্রথম-চেষ্টার পরিণাম হইতে ভিন্ন প্রকারের। অশোকের দিগ বিজয়, অশোকের রাজ্যশাসন,—সমস্ত ভারতের উপর ভারতীয় সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল, ভারতকে নৈতিক ঐক্য প্রদান করিয়াছিল। ভারতী শ্রাবণ, ১৩২১ মধ্যযুগে, মুসলমানদিগের অধিষ্ঠান, বৈরী জাতিসমূহের ও সম্প্রদায়সমূহের সংগঠন — প্রাচীন ভারতের ধৰ্ম্মনৈতিক একতা চুর্ণ করিয়া দিল। তখন হইতে হিন্দুরা সেই য়ুবোপীয়দিগের সভ্যত গ্রহণ করিতে সমর্থ হইল-যে যুবোপীয়ের, অশোক ও আকবর যাহ! পাবে নাই সেই কাৰ্য্যসাধনে সফলতা লাভ করে । এইরূপে, মধ্যযুগের শেষভাগে যুরোপ্লের ন্তায় ভারতেও কেন্দ্রগত রাজশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ; কিন্তু ইহা একটা আগন্তুক ঘটনা মাত্র। ষোড়শ শতাব্দীসুলভ জলন্ত উৎসাহের ভাব, সপ্তদশ শতাব্দীসুলভ প্রাচীন আদর্শগত “ক্ল্যাসিক” ভ,ব, অষ্টাদশ শতাব্দী স্থলভ কৌতুহলের ভাব ভারতেও পরিলক্ষিত হয় ;–কিন্তু সমস্ত রূপান্তরিত আকারে । শেষে রহিয়া গেল সামন্ততন্ত্রস্কলভ আচারব্যবহার, জাতিভেদ প্রণালী, হিন্দুধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্মণের আধিপত্য । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । তোমাময় তোমার মধুর কণ্ঠের গীতি বাজিছে আমাব কর্ণে, বিশ্ব-প্রকৃতি তোমারি মুরতি এ কেছে সপ্ত-বর্ণে। তোমার হৃদয়-ছায়াটী অামার পড়েছে মানস-কক্ষে ; তোমারি উজল নয়ন-জ্যোতিটি লেগেছে আমার চক্ষে । তোমারি স্বজিত কুসুম আমারে আকুল করেছে গন্ধে, তোমাময় হ’য়ে, তাই বীণা মোর গাহিছে (তামারি ছন্দে । শ্ৰীমতী রেণুকাবালা দাসী