পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা • ছিল না। তাহার মন মালতীর প্রতি শ্রদ্ধা সন্ত্রমে ভরিয়া উঠিতেছিল। মালতীকে ভালো করিয়া বুঝিয়া লইবার জন্ত নবকিশোর বলিল—এখানে তোমাকে দেখবে শুনবে কে ? —ভগবান, আর আমি নিজে । নবকিশোর হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল— তবে তুমি অমন ভয়ে ব্যস্ত হয়ে খুড়িমাকে চিঠি লিখেছিলে কেন ? মালতী লজ্জিত হইয়া গলার স্বর"নামাইয়৷ থামিয়া থামিয়া বলিতে লাগিল—সংসারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় অল্প বলে ভয় হয়।. —এখনো ত সে ভয়ের কারণ দূর হয়নি? —ভগবান যখন আমাকে সংসারে একলা না ছেড়ে দিয়ে ছাড়বেন না, তখন বাধা হয়েই ংসারকে চিনে নিতে হবে। যতক্ষণ অপরিচয় ততক্ষণই ত ভয়... নবকিশোর আর মালতীর কথা ভালো করিয়া শুনিতেছিল না । সে মনে মনে মালতীর সহিত তাহার চেনাশোনা মেয়েদের তুলনা করিতেছিল। মালতীর পাশে তাহদের ছবি হাস্তোদ্দীপক মনে হইতেছিল। নবকিশোর সঙ্কল্প করিল যেমন করিয়া হোক মালুতীকে মথুরাপুরের জমিদারের অন্তঃপুরে লইয়া গিয়া ফেলিতে হইবে ; মালতীর আদর্শ, ংসর্গ ও চেষ্টার দ্বারা সেখানকার মুর্থ পরকুৎসাপ্রিয় স্ত্রীসমাজকে ভাঙিয়া গড়িতে হইবে । নবকিশোর খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় বলিল—তোমার মাসির ব্যবহারে তোমারু মনে কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তোমার একবার তার মানসিক অবস্থাটাও বিচার করে দেখা উচিত। এককালে তিনি যাদের স্রোঙের ফুল ○○○ সমকক্ষ শরিক ছিলেন, তাদের দুষ্ট চক্রান্তে সৰ্ব্বস্বাস্ত হয়ে এখন তিনি তাদেরই দ্বারস্থ। তাদের কাছে ভিক্ষ চাইবার সময় তার অভুিমান একটু যদি তীক্ষ হয়েই থাকে তবে সে কি একেবারে অমার্জনীয় ?...তুমি তোমার মাসিকে চেন না, আমরা কিন্তু আমাদের খুড়িমাকে খুব ভালো করেই চিনি। মালতী একটু ভাবিয়া বলিল—তা হতে পাবে। কিন্তু যেখানে এক দিকে ভিক্ষ আর অন্ত দিকে উপেক্ষ,সেখানে ভিক্ষার মাত্রা বৃদ্ধি করে মাসিমাকে কুষ্ঠিত অপমানিত করাও ত আমাব উচিত হবে না । তাকে যে এমনতর ভিক্ষার ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় জানলে কথনে তঁকে চিঠি লিখতাম না । —এখানেও তোমাব চেয়ে আমাদের জানবার সুবিধা বেশী । বিপিনের মা জমিদাবের অশিক্ষিত গৃহিণী, তাই তিনি খামখেয়ালি, গৰ্ব্বিত, অসহিষ্ণু ; কিন্তু আসল মানুষটি বড় সাদা, বড় স্নেহশীল, অল্পেই র্তাহাকে তুষ্ট করা যায়, রাগ র্তার বেশীক্ষণ থাকে না। যদি তার খেয়াল বুঝে চলা যায় তবে তাকে দিয়ে যা ইচ্ছ। তাই করিয়ে নেওয়া কিছুমাত্র শক্ত কাজ নয়। খুড়িমা সেইটি পারেন না বলেই যত গণ্ডগোল বাধে। বিপিন মধ্যস্থ হয়ে দু দিক সামলায়। বিপিন বাড়ী থাকলে এত গণ্ডগোল হত না । বিপিন শিগগিরই বাড়ী যাবে, তখন আর কোনো গণ্ডগোল হবার সম্ভাবনা থাকবে * Fl I ......... তোমার 'आब • কোনে ওজরটোজর শুনব না। এই দেখ হবিবিহারী বাবু তোমাকে নিমন্ত্রণ করেছেন, আমি বিপিনেব হয়ে নিমন্ত্রণ করতে এসেছি ;