পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা \াঙল ঘোমটা ঈষৎ ফাকা করিয়া মালতীকে দেখিতেছিল। ঝিউড়িরাও নিৰ্ব্বাক নিম্পন্দ হইয়া একপাশ্বে দাড়াষ্টয়া দেখিতেছিল। কেহই অগ্রসব হইয়৷ মালতীকে অভ্যর্থন করিয়া গ্রহণ করিল না । রোহিণীর বিদ্রুপে মালতীর মনের মধ্যে কান্না জমিয়া উঠিয়ছিল ; এখন সকলের বিরাগভর ব্যবহারে তাহার অশ্রী রোধ করা কঠিন হইল্প উঠিল। তাহাব মনে হইতে লাগিল --এ কি এ কোথায় আসিলাম ? সকলের এত তাচ্ছিল্য সহিয়া এখানে টিকিয়া থাকিব কেমন করিয়া ? এমন দৃষ্টির লক্ষ্য হইয়া আর কতক্ষণ লজ্জা পাইতে হইবে ? কেহ কি তাহাকে একবার ডাকিয়া তাহাদের নিজেদের মধ্যেকার একজন করিয়া লইবে না ? মাসিম, তিনিই বা কোথায় ? নবকিশোর মালতীর অবস্থা বুঝতে পারিয়া করুণ সাত্বনার দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিতেই তাহার চোখ দিয়া অশ্ৰ,গড়াইয়া পড়িল । তাঙ্গ লুকাইবার জন্ত মালতী মাথা নত করিল। এই অপরিচিত বিরূপ নারীমণ্ডলীর মধ্যে এক নবকিশোরকে বন্ধু দেখিয়া যতই সে তাহার প্রত্যtশা করিতেছিল ততই তাহার ভয় বাড়িতেছিল যে পরের ধরে নবকিশোর কতক্ষণ তাহাকে আগলাইয় থাকিবে ? এই-সমস্ত বিরূপ লোকেদের বিরাগ সহ করিয়াই জাহাকে থাকিতে হইবে । মালতী এই সম্ভাবনার চিন্তাতেই ব্যাকুল হইয়া নিরাশ্রয়ের হতাশ দুৰ্ব্বলতায় একেবারে ভাঙিয়া পড়িবার মতন হষ্টতেছিল। আমি সে নিজেকে যেন সম্বরণ করিয়া ইখিতে পারিতেছে না। স্রোতের ফুল ভাবে সকলের " &&న এমন সময় বিনি তাহাকে বাচাইল । সে এতক্ষণ মালতীর মুথের দিকে , চাহিয়া চাহিয়৷ দেখিতে দেখিতে সাহস করিয়া অগ্রসর হইল, এবং মালতীর হাত ধরিয়া গম্ভীরভাবে বলিল—তুমি আমাল দিদি ? তুমি গল্প বলবে ? 彰 মালতী সমুদ্রে যেন কুল পাইল । সে তাড়াতাড়ি বিনিকে কোলে তুলিয়া লইয়া তাছার মুখে চুম্বন করিতেই তাহার সকল চেষ্ট ভাসিয়া গেল--প্রভাতবায়ুর স্নিগ্ধ স্পর্শে শুভ্র মুন্দর শিউলি ফুলের মতে অশ্রবিন্দুগুলি ঝৰ ঝর করিয়া ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । এ বাড়ীর কেহ একজন তাহাকে আদর করিয়া আত্মীয় বলিয়া অভ্যর্থনা করিয়াছে ! তাহার সমস্ত লজ্জার গ্লানি এই ছোট্ট মেয়েটুকু আদর দিয়া মুছিয়া দিয়াছে ! মালতী তাড়াতাড়ি চোখের জল আঁচলে মুছিয়া নবকিশোরের দিকে সকরুণ প্রসন্ন দৃষ্টি ফিরাইল । নবকিশোরও এতক্ষণে কিছু বলিবার অবকাশ পাইয়৷ ইপি ছাড়িয়া বাচিল ; সে বলিল- এ আমাদের বিনি, আর ইনি আমাদের মা...... @ বিনি পাছে মালতীকে ছুইয়া ফেলে এই ভয়ে গিন্নি তাড়াতাড়ি বিনিকে ধরিতে আসিয়াছিলেন ; তিনি ধরিবার আগেই মালতী তাহাকে কোলে তুলিয়া লইয়াছিল; গিন্নি তাহ দেখিয়া কাঠের মতো আড়ষ্ট হইয়া দাড়াইয়া ছিলেন । মালতী তাহাকে প্রণাম করিয়া পায়ের ধূলা ঝইবার জন্ত হাত ঘাড়াইতেই, পায়ের কাছে সাপ দেখিলে মানুষ যেমন করিয়া চমকাইয়৷ পিছু হটে তেমনি করিয়া, তিনি সরিয়া গিঞ্জ বলিলেন