পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা . আর বেশীদূর অগ্রসর হয় নাই।” ' এইখানে জ্যোতিবাবু, গুণেন্দ্রনাথের দয়া ও আশ্রিত বাৎসল্যের একটা গল্প বলিলেন । “আমাদের একজন দূরসম্পৰ্কীয় আত্মীয় ঋণগ্রস্ত হইয়া" গুমুদাদার বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি সেইখানেই অবস্থিতি করিতেন । পাওনাদার তাহার উপর ওয়ারেন্ট জারী করিবার সুযোগ পাইত না । কোন ঘরের শত্রু বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া দ্বিপ্রহর , রাত্রে র্তাহাকে ধরাইয়া দেয়। গুমুদাদা হাপাইতে হাপাইতে আমাদের এ বাড়ীতে আসিয়া আমাকে জাগাইলেন এবং এই বিপদের কথা জানাইলেন। বেঙ্ক বন্ধ—এত রাত্ৰে— আত টাকা কোথায় পাওয়া যাইবে । আমার তখন হাটখোলায় পাটের আড়ৎ ছিল— লোক পাঠাইয়া সেখান হইতে তখনি টাকা আনাইলাম —তিনি সেই টাকায় ঋণ পরিশোধ করিয়া ঐ বিপন্ন ব্যক্তিকে উদ্ধার করিলেন।” মধ্যে একবার জোড়াসাকো-বাড়ীর আগাগোড়া মেরামত ও জীর্ণ সংস্কার করিবার প্রয়োজন হয়। সেই উপলক্ষ্যে নৈনানে প্রযুক্ত মতিলাল শীল মহাশয়ের বাগান বাড়ী ভাড়া লইয়া বাড়ীগুদ্ধ সকলে সেখানে কিছুদিন বাস করিতেছিলেন। বাড়ীটি খুব বড়, দোতলা, বাড়ীর হাতাও খুব বিস্তৃত। হাতার মধ্যেই থানিক দূরে রান্না বাড়ী। রান্না বাড়ীটি বড় বড় গাছে ঘেরা, তার সামনে ঘাট বাধান একটা পুষ্করিণী। চাকরের রাত্রি ১১টা ১২টার সময় রান্নাঘবের সাম্নে निम्न पनि बाब्र श्रमनि भूईिङ श्हेब्र পড়ে। শেষে এমন হইল যে একদিন একট৷ চfকর, অত্যধিক ভয়ে মরিয়াই গেল। কিন্তু জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি \లిఱt নামে একজন বৃদ্ধ হস্থকরা ছিল। জ্যোতি বাৰু কিছুকে ডাকিয়া ব্যাপার কি জিজ্ঞাসা করেন ; সে উত্তর করিল—“দাওয়ানজীর (মহাত্মা রাজ রামমোহন রায় ) মত চেহারা, মাথায় তারই মত পাগড়ী কে একজন রোজ রাত্রে রান্নাঘরের সন্মুখে দ;ড়াইয়া থাকেন।” এই কথা শুনিয়া জ্যোতিবাবু, ভূতের অস্তিত্ব নির্ণয়ে খুব কৌতুহলী হইলেন। বাল্যকালেও তিনি ভূত বিশ্বাস করিতেন না, এজন্য তিনি মনে মনে একটা গৰ্ব্বও অনুভব করিতেন। যাহাই হউক, এক্ষেত্রে তিনি ভূত আবিষ্কার ব্যাপারে নিজেই ব্ৰতী হইলেন। একদিন রাত্রি ১২টার পর " একাকী রান্নাঘরের দিকে গেলেন। যেমন রান্নাঘরের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন, অমুনি দেখিতে পাইলেন সত্য সত্যই কে একজন পাগড়ী মাথায় দেওয়ালে ঠেস্ দিয়া দাড়াইয়া আছে। ভয় তাহার যথেষ্টই হইয়াছিল, কিন্তু গৰ্ব্ব র্তাহাকে উৎসাহিত করিয়া অগ্রসর করিয়া দিল । নিকটতর হইয়া যাহা দেখিলেন গুহা নিতান্তই হাস্তকর । দেওয়ালের একটা জায়গায় খানিক চুন বালি খসিয়া গিয়া স্থানে স্থানে কালে এবং সাদা সাদা রেখাপাত হইয়া সমস্তটা দূর হইতে একটা থাগড়ী-পরা মূৰ্ত্তির মত দেখাইতেছিল। চাকুর বাকরের ইহাকেই ভূত কল্পনা করিয়া এত ভীত হইয়৷ পড়িয়াছিল। জ্যোতিবাবু তখন সকলকে তাহ পুত্যক্ষ করাই দিলেন -সেই হইতে ভূতের ভয়ে আর কেহ মূৰ্ছ ষায় নাই। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও একটি মজার গল্প বলিলেন। সেকালে জ্যোতিবাবুদের