পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԿԵ, মুগন্ধ পুষ্পে তোমার বক্ষ সুগন্ধিময়—সহস্ৰ উজ্জ্বল পুষ্পে তুমি বিচিত্র মাধুর্য্যময়ী—, মা গো যদি এই সামান্ত বৃক্ষে সামান্ত স্বৰ্যমুখী ফুল তাহার চিরবল্লভের প্রতি দৃষ্টিপাত মাত্র কাৰ্য্যে। জীবন শেষ করিয়া সন্ধ্যার মেীন মন্ধকারে তোমার বুকে ঝরিয়া পড়ে—তবে কি তুমি তাহাকে তোমার শীতল ক্রোড়ে স্থান দিবে না ? লাইক কাদিতে লাগিল –সন্মুখে প্রসাfরত শস্ত ক্ষেত্ৰ—গোধূম ক্ষেত্রের দীর্ঘ শীর্ষ ক্রমে মুইয়া পড়িতেছে,—পাশ দিয়া ক্ষুদ্র পথরেখা বহিয়া পল্লীবধু গাগরী মাথায় জল লইয় ফিরিতেছে ; স্বৰ্য্য কখন অস্ত গিয়াছে সে তাহা জানিতেও পারে নাই—সহসা চক্ষু তুলিয়া দেখিল অন্ধকার ; সন্ধ্যা কখন উত্তীর্ণ হইয়। গিয়াছে ! Ge অশ্রু মুছিয়া লাইকা উঠিল ; হায় বাঞ্ছিতে ! হায় প্রেয়সী-ভক্তজনের নিকট তুমি এত দুর্লভ কেন?—যে তোমার সর্বাপক্ষ সমীপন্থ তাহারই নিকট হইতে তুমি দূরে উচ্চে বাস কর কেন ?—দয়াময় ভগবান !— তোমার লেবকের নয়নেই সাগর জল আসিয়া বাস করে কেন ?—কাতরের অশ্রুঞ্জল কি তোমার প্রিয়—প্রিয়তম ?—ধে তোমায় ভাল বালে তাহাকে কাদাইতে কি তোমার ভাল লাগে ?--তৰে তাই হোঁক—তবে আয় রে অশ্রু ! তুই আমার' সৰ্ব্বস্বের প্রিয়—মুতরাং আমারও প্রাণাধিক প্রিয় !— লাইক এবার বসিয়া পড়িল— গদগদ কণ্ঠে কি গাহিতে লাগিল—চতুর্থীর ক্ষীণ চন্দ্র, ধীরে ধীরে পশ্চিমাঞ্চলে ঢলিয়া পড়িতেছে, পাশ্বে মোহিনী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী রোহিণী !— ভারতী শ্রীবণ, ১৩২১ মৃদ্ধ হাসিয়া লাইক বলিল—“তুমি রাজাধিরাজতনয়া আর আমি দরিদ্র, তুমি উচ্চে স্বর্ণচুড় প্রাসাদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী আর আমি এই নগণ্য পল্লীর অজ্ঞাতনাম সামান্ত দীন—তবু ; তুমি আমার, একান্তই আমার! তুমি আমার পত্নী এ গৰ্ব্ব রাখি না দেবি,—শুধু তোমায় ভালবাসি—তোমারে আমার সৰ্ব্বস্ব অর্পণ করিয়াছি তোমার জন্ত সৰ্ব্বাস্ত;করণে আমার সমস্ত বিকাইতে পারিয়াছি—এই আনন্দে তুমি আমার – জীবনে মরণে আমি একান্তই তোমার এই অখণ্ডবিশ্বাসে তুমি আমার! আমার আমিত্ব কেবল তোমার তবত্বে লীন হইয়া গিয়াছে আমি বৃলিতে কেবল তোমাকেই বুঝায়— আর তুমি বলিতে বুঝি আমি ; আপনার জীবনরাগিণী তোমাকেই অনুভব করি, তাই —তাই—আমার ধ্যান জ্ঞান অনুভব--, আমার জীবন মরণ স্মরণ, আমার তারক তৃপ্তি তৰ্পণ –আমার সৰ্ব্বস্বরূপে তুমি আমার!-আত্মার দুইদিনের ক্রীড়াভূমি দেহকে যদি আমার দেহ বলিয়া গৰ্ব্ব করিতে পারি—দুইদিনের বাসভূমি পৃথিবীকে আমার আবাস বলিয়া স্বীকার করি—তবে হে আমার আত্মার চিরনিলয়রূপিনী দেবি ! তুমিও আমুর—এ কথা বলব না কেন ? সৰ্ব্বত্রব্যাপী কি এক প্রসন্নতার অনুভবে লাইক শিহরিয়া উঠিল! এ সত্য যথার্থই, এ সম্পূর্ণ সত্য ?—এ জগতে কিসের অভাবে কিসের বেদন ? সংসারে এত হায় হায় কেন ? নিজের আত্মার স্বামুভবে এত প্রীতি এত শাস্তি এত শক্তি সত্বেও মাঙ্গুধ এত অভাব দুঃখ স্বষ্টি করে কেন ?