পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৭ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা © সরিয়া থাকিত। তখন জুজকে ੱਿਸ 4 কথা কেহ বলিতে পারিত না, ঘাড় গুজিয়া এই যে লোকটি অঙ্কের পর অঙ্ক কষিয়া চলিয়াছে, ইহার সহিত ঐ মায়াময়ী চটুল ! কল্পনার কোনদিন কোন সম্পর্ক ছিল বা আছে ! কিন্তু একবার" অফিসের বাহিরে পা দুইটি বাড়াইলে হয় ! দুবস্ত শোকের মত কল্পনা যেন প্রচুব আক্রোশে জুঞ্জকে আক্রমণ করিত ! মাথায় তাহার ভাবেব ফেয়ারা খুলিয়া যাইত—কত চিন্তা, কত কথা তরঙ্গের মত নাচিয়া ছুটিত ! সে সকলেব সন্ধান রাখিলে দশজন লেখক তরিয়া ষাটতে পারিত।” সেদিন সকালেও মেয়েদেব চোখেব আড়ালে আসিতেই জুজেব মাথাব মধ্যে কল্পনা এক বিচিত্র চিত্র আঁকিয়া ধরিল। বৎসব শেষ হইতে চলিল—বড়দিন আসন্ন। কস্তাদের জন্ত বিধি সওগাত কিনিতে হইবে । ডিসেম্বর মাসে হেমারলিঙ এগু সনসেব কৰ্ম্মচারী মাত্রেই অতিরিক্ত এক মাসের মাহিন ভাতা পাইয়া থাকে । সওগাতের সঙ্গে সঙ্গে ভাতার কথাও জুজেব মনে পড়িল। ছোট-খাট পরিবাবে, এই ভাত অনেকখানি আনন্দেব স্বষ্টি করিয়া থাকে। ইহারই উপর পুত্রকষ্ঠার হাসিমুখ নির্ভর করে । দুঃখ-দৈন্যের দিনের জন্ত সামান্ত সঞ্চয়ের আয়োজনও এই ভাতার সাহায্যে নিম্পন্ন হয় । কৰ্ম্মচারীর দল ইহার জষ্ঠ মনিবের জয়-গান গাহিতে কখনও কার্পণ্য করে না । so আসল কথা জুজের অবস্থা বেশ সচ্ছল নছে । তাহার স্ত্রী এক বনিয়াদি ঘরের কন্ত। "নবাব \లిyసి ছিল—পয়সাব সাচ্ছল্য না থাকিলেও বনিয়াদি ঘরের মেয়ের পক্ষে চাল” কমানে সহজ ব্যাপার নহে। জুজও এ বিষয়ে স্ত্রীকে কোনদিন একটা কথা বলিয়া ভবিষ্যতের জন্ত সতর্ক করিয়া দেয় নাই। সেই স্ত্রী আজ তিন বৎসর হইল সংসার হইতে বিদায় লইয়াছে। স্ত্রীর প্রতি পাছে অসম্মান প্রকাশ পায়, এই আশঙ্কায় জুজ স্ত্রীর জীবিতকালীন ব্যবস্থাদিতে এতটুকু পরিবর্তন ঘটিতে দেয় নাই। স্ত্রীর স্থানে জ্যেষ্ঠা কণ্ঠ বন্‌ মামান এখন গৃহিণী—তাহারই হাতে জুজ টাকা-কড়ি তুলিয়া দেয়—১৪ছাইয়া ব্যয় করিবার ভার বন মামানের উপর । এ কাজ বন মামান এমন নিপুণতার সহিত চালাইয়া আসিতেছে যে সংসাবের কোন

  • কোণ হইতে কোন দিন এতটুকু অমুযোগের

মুর উখিত হয় নাই। এ বৎসর ভাতাটা কিছু মোটা রকমের হইবে বলিয়া জুজ স্থির করিয়া রাখিয়াছিল । স্থির করিবার কারণও ছিল। টিউনিস্ লোনে কোম্পানি এবার সমধিক লাভবান হইয়াছে। জুজ তাহার সহকারিবৃন্দকে এ কয়দিন ধরিয়া আশ্বাস দিয়া এই কথাই বলিয়া আসিতেছে, “হেমারলিঙ এও সত্ৰ এবার বলীকে একবারে মুঠার মধ্যে পুরিয়া ফেলিয়াছে!” চলিতে চলিছে, জুজ ভাবিল ভাত, অন্ত বৎসরের অপেক্ষা দ্বিগুণ হইবে, নিশ্চয় ! এত লাভ ! কল্পনা-নেত্রে সে যেন স্পষ্ট দেখিল, হেমারলিঙেৰ ঘরে তাহার ডাক পড়িয়াছে! হেমারলিঙ প্রসন্ন মুখে জুজকে ডাকিয়া অনেক টাকার চেক্ কাটিয়া দিতেছে! ধন্যবাদ দিয়া জুজ যেমন চলিয়া যাইবে,