পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 98 همه جاجیه | করিয়া মোক্ষদার কানের কাছে মালতী শুনিতে পায় এমনতর স্পষ্ট অথচ চাপা গণয় বলিল-ওমা! কি ঘেন্না ! কি লজ্জা ! মেয়েমানুব পড়তে পারে তা আবার বড় গলা করে” বলা হচ্ছে! এই জন্তেই ত বিধবা চরেছে, লক্ষ্মী ছায়া মাড়াচ্ছেন না, পরের দুয়োরে মাঙতে আসতে হয়েছে ! মেয়েমামুষের কি এত অনাচার সয় গা ?......আচ্ছা জিজ্ঞাসা কর না ভাই, ও গান গাইতে পারে ? মালতী হাসিয়া বলিল-তুমিই জিজ্ঞাসা কর না কেন। আমি তোমাদের সমবয়সী, আমার সঙ্গে কথা বলতে এত লজ্জা । পাচুর মা মুখ ঘুরাইয়া জনান্তিকে বলিল —আ মরণ ! ওঁর মতন ত আমি বেহায় नई ! o মোক্ষদা এই অপ্রিয় প্রসঙ্গ চাপা দিবার জন্ত তাড়াতাড়ি বলিল—তুমি গান করতে পার ভাই ? - মালতীর মুখের হাসি মিলাইয়া গিয়াছিল। বলিল—একটু একটু পারি। ক্ষমা গলে হাত দিয়া চোক পাকাইয়া বলিল—ওমা! তুমি দেখছি একেবারে शिठेॉन ! o . . . —কেন খৃষ্টান কিসে হলাম ? তোমরা কি বাসরঘরে গিয়ে গাও না ? ক্ষমা গাল ফুলাইঃ বলিল—সে বাসরঘর এক, আর সাধে মুখে গান গাওয়া আর । দুটো কি সমান হল ?”আচ্ছ, তোমর পুরুষের গল ধরে’ নাচ ? মালতীর মুখ লাল হইয়া উঠিল। মালতী ঘর হইতে বাহির হইয়া চলিয়া গেল। ভারত্নী ● ভাদ্র, ১৩২১ মালতী ঘরের চৌকাঠ পার হইতে না হইতে সকলে সমস্বরে হাসিয়া উঠিল, যেন এমন কৌতুককর জীব জন্মে তাহার • দেখে নাই। পাচুর মা ঘোমটা খুলিয়া ফেলিয়৷ বলিয়া উঠিল— বাবাঃ আচ্ছ মেয়ে যা হোক । কি দেমাক্‌ ! ক্ষমা বলিল— রূপের দেমীক রে রূপের দেমাক্‌ ! পাছে রূপ ঢাকা পড়ে তাই মুখের ওপর এক রক্তিও ঘোমটা টানা হয় না! রূপ যেন আর কারো হয় না ! . জয় বিজ্ঞ ভাবে বলিল- রূপ দেখিয়েই ত ওসব লোকের পশার ! মোক্ষর এতক্ষণ চুপ করিয়া সকলের মন্তব্য শুনিতেছিল। সুন্দর মুখ সোনার কাঠির মতো নিজের চারিদিকের সুপ্ত সৌন্দর্য্যকে জাগাইরা তোলে। মালতীর অপরূপ রূপ এই-সব রূপহীনাদের মনের মধ্যে বড় বেশী রকম জাকাইয়া বসিয়াছিল, নিজেদের পরাভব অত্যন্ত তীব্রভাবে লজ্জা দিতেছিল বলিয়াই, সেই অপরাজিত রূপকে মুখে অস্বীকার করিবার জন্ত ইহাদের এত আগ্রহ। মোক্ষদা উহারি মধ্যে দেখিতে নেহাৎ মন্দ নয়। তাই সে মালতীর রূপ একেবারে অস্বীকার করিতে পারিল না। বলিল—ত যা বলিস ভাই, দেখবার মতন রূপ বটে ! মেয়ে ত নয়, যেন একখানি ছাঁচ ! এমন দুধে-আলতার মতন রং কখনো দেখিনি ! গালে টুসকি মারলে বোধহয় রক্ত ফেটে পড়ে ! পাচুর মা অবজ্ঞাভরে বলিল-দুর। তুই যেমন স্থাকা । গালে রং মেখেছে।