পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা w অপ্রতিকর গন্ধময় ও কালোরূপীই বা ’কে বলে ? এখন ইহা রূপান্তরিত হইয়া প্রতি দেশের ঘরে ঘরে বহুরূপী ভাবে সসন্মানে, বিরাজ করিতেছে । একদিকে আলকাতর হইতে যেমন নানাবিধ মনোমুগ্ধকারী রঙের আবিষ্কার, অপর দিকে সেইরূপ আলকাতর হইতে তিৰ্য্যকপাতন দ্বারা যে সকল জিনিস পাওয়া ষায় তাহার একটি পদার্থ হইতে স্ত কারিন্‌ (Saccharine) নামে এক অদ্ভুত মিষ্ট পদার্থ স্বল্প হইয়াছে। ইহার মিষ্টত চিনি অপেক্ষ চারিশত পাঁচশত গুণ অধিক। কেহ স্বপ্নেওঁ ভাবিতে পারেন নাই যে রাসায়নিক গবেষণার ফলে আলকাতর হইতে স্তীকারিনের মত মিষ্ট পদার্থ প্রস্তুত হইবে । সোরা বঙ্গদেশ নীলের জন্মস্থানু ; নীল ও সোর বঙ্গদেশ হুহতে ইউরোপে জাহাজ ভরিয়া চলিয়া যাইত । বিহারেও নীলের চাষ ও সোরা সংগ্ৰহ হইত, কিন্তু বাংলাতে সমধিক পরিমাণে উৎপন্ন হইত। এমন কি যাহার গ্রামে গ্রামে সহরে সহরে সোর স্ংগ্ৰহ করিয়া বেড়াইত, তাহারা “মুনিয়া” নামে আজও অভিহিত হইয়া থাকে ; পরিষ্কৃত সোরাকে ইউরোপে “বাংলা সোর” (Bengal Saltpetre) বলিত। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলস্থিত চিলি দেশে প্রকৃতির লীলায় সমুদ্ভুত সোরাস্তর আবিষ্কৃত হওয়ায়. বঙ্গদেশের মুনিয়ার” কাৰ্য্য লোপ | রাসায়নিক গবেষণার ফল 8 SY পাইয়াছে । এই চিলি দেশস্থ সোরাwns (sodium niträte) goto on, ভার্গাবার গণনায় ইংরাজি ১৯২৩ খৃষ্টাব্দ মধ্যে নিঃশেষ হইবে। ভবিষ্যতে সোর প্রস্তুত সহজে স্বল্পব্যয়ে কি উপায়ে করা যায় তজ্জষ্ঠ পাশ্চাত্য রসায়নজ্ঞগণ বহুদিন গবেষণা করিয়াছেন। সম্প্রতি র্তাহারা দ্ৰব *F offs (Caustic Alkali Solution) বৈদ্যুতিক শক্তিবলে বায়ুমণ্ডলস্থ নেত্রজনঞ্জ (Nitrogen) ও অক্ষজনের (১) (OOxygen) যে যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন হয় তৎসাহায্যে নরওয়ে দেশে ও জাৰ্ম্মাণিতে উৎকৃষ্ট প্রণালীতে সোর প্রস্তুত করিতেছেন । বিস্কোরক পদার্থ এবং নাইটিক অর্ম প্রস্তু তার্থে ও ক্ষেত্রে সার দিবার জন্ত সোর। উপ্ৰচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয় ; সুতরাং তাহা বিক্রয় করিয়া ঐ সকল দেশে প্রভুত অর্থাগম হইবে, সন্দেহ নাই । নীল বঙ্গদেশে নীল চাষেব কাহিনী কাছারও অবিদিত নাই ; নীলের লীলা এখন ইতিহাসের গাথা—অতীতের কাহিনী । অতি প্রাচীনকাল হইতে এদেশের, নীল, রেশম প্রভৃতি পারস্য, গ্রীস, ইটালিতে রপ্তানি হইত। এ সম্বন্ধে ঐযুক্ত রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের "প্রাচীন তারতে নেীকুশলতার ইতিহাস” নামক মূল্যবান ইংরাজি গ্রন্থ আমাদিগকে অনেক বিক্ষিপ্ত ও লুক্কায়িত ব্যাপার জ্ঞাপন করিতেছে। এবং (১) জাতীয় শিক্ষা সমিতির রসায়নের অধ্যাপক জীযুক্ত মণীন্দ্রনাথ বন্ধ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের পরিভাষা ।