পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88२ বোধ হয় ইংরাজি ষষ্ঠদশ শ ভাদিতে পর্তুগীজগণ কর্তৃকই নীল, রেশম প্রভৃতি সমধিক পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হইতে আরম্ভ হয় । go কিন্তু একটী কথা আমাদিগকে সৰ্ব্বদ স্মরণ রাখিতে হইবে যে পাশ্চাত্য জগৎ আমাদের মত—যেমন আছি তেমনি তাবস্থায় থাকিয়া কখনও নিশ্চিন্ত হইতে পারে নাই । কোন প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্ত তাহারা কতক সময় পরমুখাপেক্ষী হইলেও, নিজেদের অভাবের কথা তাহাদের মনে জগন্ধক থাকে এলং তাহামোচনের নিমিত্ত উপায় উদ্ভাবনে তাহারা কাল বিলম্ব করেন । বায়ার, হয়মান, হীমান্‌ প্রভৃতি মণীষিগণের গবেষণার ফলে আজ জাৰ্ম্মানি নীলের একচ্ছত্র রাজা। বর্তমান সময়ে আলকাতর হইতে তির্যাকপাতন &isitors ( Distillation ) &lts; 2nto হইতে নীল প্রস্তুত হইতেছে। খৃষ্টাবে জাৰ্ম্মানির নীল প্রথমে বাজারে বাহির হয় ; এই কয়েক বৎসর মধ্যেই বঙ্গদেশের stal ( Bengal Indigo ) já frittan অনুপাতে শত করা মাত্র চল্লিশ ভাগ উৎপন্ন হইতেছে ; মূল্যও জার্মানির কৃত্রিম রাসায়নিক ‘নীল প্রচলনের পর পুৰ্ব্বমূল্যের এক তৃতীয়াংশ হইয়াছে। বাংলার উদ্ভিদজাত নীল আর প্রতিদ্বন্দিতায় পারিয়া উঠিতেছে না। A. কপুর পাশ্চাত্য জগৎ রসায়নের সাহায্যে যতটা সম্ভৱ, অন্তের মুখাপেক্ষী না হইয়া নিজেদের অভাব পূরণ করিবার জন্ত প্রয়াস পাইতেছে। কপূর জাপানের এক-চেটে সম্পতি ছিল >br" s ੋਲੀ ਬੋਲੈ। 锣 ভাদ্র, ১৩২১ বললেই চলে ; সম্প্রতি রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা রসায়নাগারে কপুর প্রস্তুত আরম্ভ হইতেছে ; মৃতবtং কপুর-বাণিজ্যে জাপানের একাধিপত্য বোধ হয় আর অধিকদিন স্থায়ী । হইবে না। কৃষিকাৰ্য্য ইউরোপ আমেরিক প্রভৃতি দেশের মাটিতে যাহা জন্মে না, অন্য উপায় উদ্ভাবনে তাহারা সে অভাব মোচন করিয়া থাকে ; কেবল তাহাই নহে নিজেদের অভাব পুরণ করিয়া তদ্বারা বিদেশ হইতে অর্থাগমেরও সংস্থান করে। আর আমরা মাটির উপপ্ল' জীবন ধারণ করিয়া দিন দিন মাটিই “ झहेख्न যাইতেছি। কৃষিকার্য্যের প্রতি আমরা উদাসীন ; আমাদের শিক্ষিত জনের বিবেচনায় যে, ওটা একটা নীচ কাজ, এবং ভাবনার বিষয় নহে –একথা বোধ হয় কেহ অস্বীকার করিবেন না । রেশম রেশমের অবস্থাও দিন দিন শোচনীয় হইয়া পড়িতেছে ; রেশমের চাষ রক্ষার জন্ত রাজসাহী, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ গবর্ণমেণ্ট इईड राषडे cण्डे कब इहेख्ह ? क्रूि রেশম চাষ যে পুনরায় সঞ্জীবিত হইয়া উঠিবে, তাহা আশা করা যায় না। সম্প্রতি কার্ড নেটু, ক্রস এবং বীতা প্রভৃতি পণ্ডিতগণ বৃক্ষত্ত্বক হইতে প্রাপ্ত পদার্থ কোষাত্মক (celulose) হইতে কৃত্রিম রেশম-সুত্র প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইয়াছেন। যদিও এখন তাহ বাজারে উপস্থিত হয় নাই, তথাপি ইহা নিঃসঙ্কোচে বলা ঘাইতে শ্বারে জাৰ্ম্মানির শর্করার প্রায় এই