পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<४* द६, १शृं★म ग९षji * কৃত্রিম রেশম বঙ্গদেশের মৃতপ্রায় 'প্রকৃত রেশমের সপিণ্ডকরুণ সাধন করিয়া তাহার স্থান অধিকার করিয়া ফেলিবে । রবার ও চt আর দুই একটা জিনিসের মাত্র উল্লেখ করিব, রবার ও চী। রবার ও চা বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষ হইতে রপ্তানি হইতেছে। প্রায় বিশ বৎসর হইল রসায়নাগরে রবার প্রস্তুতের চেষ্টা চলিতেছিল। বিগত ১৯১২ খৃষ্টাব্দে সার উইলিয়ম্ র্যামৃঙ্গে, পার্কিন ও ম্যাথিয়ুজ প্রভৃতি পণ্ডিতগণ রবার প্রস্তুত, করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন ; লণ্ডন সহরে যে রবার প্রস্তুত মানসে একটা যৌথ কারবার খোলা হইয়াছে সে সংবাদ আপনার সংবাদ পত্র হইতে অবগত আছেন। সময় সাপেক্ষ হইলেও সুদূৰ সমুদ্রপার হইতে রাসায়নিক রবার বর্তমান সময় হইতেই অঙ্গুলি নির্দেশ পূৰ্ব্বক সাবধান করিয়া দিতেছে—“এই আমি আসিতেছি।” চী সম্বন্ধেও এইরূপ । পাশ্চাত্য দেশে বাঙ্গাল, আসাম ও সিংহল দ্বীপের চা অধিক মূল্যে ও প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় হইয়া থাকে ; কিন্তু এরূপ লাভ অধিক দিন থাকিবে বলিয়া মনে হয় না , পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ চা-র মধ্যে কেফিন, ট্যানি প্রভৃতি যে সকল পদার্থ যে পরিমাণে আছে, তাহার রসায়নিক সংমিশ্রণে কৃত্রিম চা প্রস্তুভ করিতে চেষ্টা করিতেছেন । তবে আপাতত ইঙ্গিতে ভীত হইবার বিশেষ কোন প্রয়োজন নাই। বঙ্গদেশ জাতীয় উন্নতির সহিত ব্যবহারিক রাসায়নিক গবেষণার ফল 989 রসায়নের এবং রাসায়নিক গবেষণার কত ঘনিষ্ট ও অবিচ্ছিন্ন সম্বন্ধ • তাহার কথঞ্চিং আভাস প্রদান করিলাম। এখন বঙ্গদেশের " উন্নত রাসায়নিক গবেষণা সন্ধন্ধে দুই একটা কথা বলা আবশুক মনে করি। ব্যবহারিক রসায়নে বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কল প্রভূত অভাব মোচন করিতেছে ; এবং আপনার সকলেই অবগত আছেন ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও ঐযুক্ত চন্দ্রভূষণ ভাদুড়ী মহাশয় ইহার প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা ও আচাৰ্য্য । আয়ুৰ্ব্বেদ ও নব্যরসায়ন সম্বন্ধে. কিছু দিন হইতে আলোচনা চলিতেছে। এ সম্বন্ধে অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন নিয়োগী মহাশয়ের “আয়ুৰ্ব্বেদ ও আধুনিক রসায়ন” শীর্ষক সারগর্ভ প্রবন্ধাবলী বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বর্তমান সময়ে কলিকাতা, ঢাকা, ও রাজসাহীতে রসায়ন সম্বন্ধে গবেষণা চলিতেছে । কেহ প্রশ্ন করিতে পারেন রসায়নিক গবেষণার সার্থকতা সাধনার সিদ্ধিই বা কোথায় ? অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন নিয়োগী মহাশয় র্তাহার “বৈজ্ঞানিক জীবনীতে” মাইকেল ফ্যারাডের গবেষণাকে উপলক্ষ্য করিয়া এ প্রশ্নের উত্তর দিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন "অনেকের বিশ্বাস যে লিগুদ্ধ রসায়ন, পদার্থবিদ্যা প্রভৃতি শাস্ত্রে, গবেষণার কোন প্রয়োজন নাই, বরঞ্চ তাহ অপেক্ষ ঘটি, বাটি, ছাত, জুতা, কাচ, . কাগজ প্রভৃতি প্রয়োজনীয়” দ্রব্য যাহাতে এদেশে উৎপন্ন হয় তাহার চেষ্টা করা উচিত। বিখ্যাত আমেরিকান বৈজ্ঞানিক ফ্রাঙ্কলিন এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে বলিতেন ছেলে মানুষ করিয়া ുണ്ണ് कि ? ७