পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ণ বর্ষ; পঞ্চম সংখ্যা 幾 পার্থীগুলা জাগিয়া সাড়া দিতে আরম্ভ করিয়াছে । খোলা জানাল দিয়া ঠাণ্ড বাতাস . ইলার ' মৃদু নিশ্বাসের স্তায়ই তাহাকে ঘেরিয়া ধীরে ধীরে বহিতেছিল। • রমানাথ বিছানায় বসিয়া দুই বাহুর স্নেহ-নিবিড় বেষ্টনে ইলাকে জড়াইয়া ধরিল, মধ্যযুগের ভারত · g 8¢ ፃ তাহার হিম-শীতল কপোল-ওলে কপোল রাখিয়া বাহ্যজ্ঞান-শূন্তের স্তায় ভুকিল, “ইলা—ইলা ।” তাহার কণ্ঠস্বরের মৃত্তায় সে ইলার ঘুম ভাঙাইতে, অথবা তাহাকে ঘুম পাড়াইতে চাহিতেছে, তাহা বুঝিবার কোন উপায় ছিল না। 婚 শ্ৰীমুরূপ দেবী। মধ্যযুগের ভারত (Mazeliefe-এর ফরাসী হইতে ) 輸 শেষ কথা নবম ও দশম শতাব্দীর মধ্যে, ভারতে ষে রূপান্তর উপস্থিত হয়, তাহার ক্রমবিকাশ ধীরে ধীরে সংসাধিত হয় নাই, পরস্তু য়ুরোপের মত দ্রুতভাবেই সংসাধিত হইয়াছিল। সেই সময়ে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় মতামতের পরিবর্তন হইয়াছে। তখন ভারতবাসীর মধ্যে পঞ্চমাংশ মুসলমান ; এবং হিন্দু ধৰ্ম্ম, দুই বিভিন্ন ধৰ্ম্ম-প্রভাবের বশবৰ্ত্তী হইয়া পড়িয়াছে। প্রথম, ইসলাম ধৰ্ম্মের প্রভাব। ভারতবর্ষ তখন আর বিশ্বব্ৰহ্মবাদী নহে। কতকগুলি পণ্ডিত ছাড়া কোন হিন্দু জীবের সহিত জীবের স্রষ্টাকে একীভূত করে না। এবং - ভারত তখন আর প্রকৃতভাবে পৌত্তলিকও নহে। ব্রাহ্মণের, শিক্ষিত লোকেরা, দেবমূৰ্ত্তিগুলিকে সাংকেতিক রূপ বলিয়া—বিগ্রহ বলিয়া মনে করে। ও, ভগবান ও ভগবানের মূৰ্ত্তি— এই দুয়ের পার্থক্য উপলব্ধি করিতে আরম্ভ করিয়াছে। এবং ভারত তখন আর ততট৷ বহুদেববাণীও নহে। অনেকে একমাত্র te ঈশ্বরের আরাধনা করে, এবং আরও অনেকে, বিভিন্ন দেবতাকে এক অদ্বিতীয় ঈশ্বরেরই অভিব্যক্তি বলিয়া মনে করে, এবং সকলেই, এক দেবতা অন্ত সমস্ত দেবতার উপরে অধিষ্ঠিত এইরূপ বিশ্বাস করে । হিন্দুধৰ্ম্মের মধ্যে খৃষ্টধৰ্ম্মের প্রভাব আরও স্পষ্টরূপে পরিলক্ষিত হয়। বিশেষত “দেবপ্রসাদের” (grace) মতবাদটিতে ঐ প্রভাবে কাৰ্য বিলক্ষণ উপলব্ধি হয়। ভারতীয় দেবতারা ক্রুদ্ধ দেবতা" ছিলেন। পরিশেষে এক দয়াময় দেবত আবিভূত হইলেন, তিনি অভিসম্পাত না করিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে লাগিলেন ; এবং আরাধনার পরিবর্তে তিনি ভক্তদিগের নিকট হইতে প্রেম চাছিলেন।' সমগ্র ভারত একটি রাষ্ট্র। এমন কি, অষ্টাদশ শতাব্দীর বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার