পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తీసి ఆ t t ভারতী ৰলিয়া শিল্প-সম্বন্ধে নানা আeেণচনার কথা পাড়িত, পিতা প্রসন্ন চিত্তে তাহাকে সকল তত্ত্ব বুঝাইয়া দিত। কোনদিন-বা ফেলিসিয়৷ বসিয়া বই পড়িত, সিবাস্তিয়ন বিছানায় গুইয়া শুনিয়া যাইত ! ফেলিসিয়া মূৰ্ত্তি গড়িত, সিবাস্তিয়ন মুগ্ধ নেত্ৰে কন্যার শিল্প-নৈপুণ্য দেখিত—আশার আনন্দে প্রাণ তাহার ভরিয়া উঠিত। এদিকে কিন্তু শরীর তাহার ক্রমেই দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িতেছিল। নিজে সে স্পষ্টই বুঝিতেছিল,এ দেহ প্রাণখানাকে বহিবার পক্ষে ক্রমেই যেন অধিকতর অক্ষম ও নিস্তেজ হইয়৷ পড়িতেছে—মৃত্যু যেন ক্রমেই তাহার অলক্ষ্য কর বাড়াইয়া অগ্রসর হইতেছে। মেয়ের দশ কি হইবে ভাবিতে গিয়া নিশ্বাস তাহার क्रक श्हेब्र अनिउ-पूर्कब्र बक्षा अशङ একটা বেদনা টন্‌ টল্‌ করিয়া উঠিত। ফেলিসিয়া পাছে সে বেদনার এতটুকু আভাষ পায়, এই আশঙ্কায় প্রায়ই তাহাকে সে চোখের আড়ে রাখিবার চেষ্টা করিত। ডাক্তার আসিলেই স্নেহান্ধ পিতা ব্যাকুল ভাবে তাহাকে জানাইত—ফেলিসিয়া অনেকক্ষণ এই বদ্ধ গৃহে পড়িয়া আছে, তাহাক বাহিরের মুক্ত বায়ুত্বে একটু বেড়াইয়া আনে । বন্ধুর এই অনুরোধ রক্ষা করিতে ডাক্তার কোনদিন এতটুকু অবহেলা করেন নাই,ফেলিসিয়াও অনেকখানি বহিজগৎকে চকিতে দেখিয়া লইবার অবকাশ পাইয় তাহা ছাড়িতে চাহিত না । এমন সময় সহসা এমন একটা ঘটনা ধটল, বাহাতে সরল কিশোরীর উন্মুখ চিত্ত &চও বাধা পাইল ; অবিশ্বাসে ভয়ে উগঞ্জ, ১৩২১ ঘূণায়. একান্ত সে · সঙ্কুচিত হইয়। পড়িল । অন্তদিনের মত জেঙ্কিন্সের সহিত ফেলিসিয়া সেদিনও তাহার, গৃহে গিয়াছিল। মাদাম জেস্কিন্স গৃহে ছিলেন না —ছুই দিনের জন্ত কোথায় তিনি বেড়াইতে বাহির হইয়াছিলেন। তাহার অনুপস্থিতির জষ্ঠ ফেলিসিয়া এতটুকু সঙ্কোচ বোধ করে নাই । ডাক্তারের বয়স ও পিতার সহিত তাহার বন্ধুত্বের পরিমাণ—ভাবিয়া ডাক্তারের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পঞ্চদশ-বর্ষীয় কিশোরী ফেলিসিয়াকে স্বগৃহে লইয়া যাইতে ডাক্তারও দ্বিধ বোধ করেন নাই। বয়সে পঞ্চদশ হষ্টলে কি হয়, সরলতায় ফেলিসিয়া সপ্তমববীয়া বালিকারই অনুরূপ ছিল। সন্ধ্যার সময় জেঙ্কিন্স ফেলিসিয়াকে লইয়া বাগানে আসিয়া বসিলেন। মাথার উপর অন্ধকার তখন ঘনাইয়া আসিতেছিল। স্নিগ্ধ বাতাস বহিতেছিল-কুঞ্জে বসিয়া দুই চারিট পাখীও বড় মিঠা গাহিতেছিল। সিবস্তিয়নের বিষয়েই উভয়ের কথা হইতেছিল —সহসা ফেলিসিয়া একটা কঠিন বাহু পাশে আপনাকে বদ্ধ দেখিয়া আতঙ্কে শিহরিয়া উঠিল। তখনই সে বাহপাশ সবলে ঠেলিয়া অগ্নিময় দৃষ্টিতে সে ডাক্তারের পানে চাহিল । মাথার উপর তখন দুই চারিটামাত্র নক্ষত্র ফুটিয়া উঠিয়াছে, আকাশের এক প্রান্ত হইতে ক্ষীণ চাদের মৃদ্ধ আলোককণা জাগিল্প দেখা দিয়াছে—ফেলিসিয়া সম্মুখেই দেখিল, ডাক্তারের অধরের কোণে বক্র একটা হাসির রেখা । তাছার মনে হইল, কঠিন আঘাতে ঐ হাসিটাকে সে চুৰ্ণ করিয়া দেয় । সে দৃষ্টি, সে বাছ-বন্ধনের অর্থ কি,