পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to e? t t করেন । এই সময়ে সত্যেন্দ্র নাথের গান লোকে ‘খুব ভালবাসিত। তঁহার রচনায় এমনি একটা সহজ সুন্দর কবিত্ব ছিল এবং মুরের সঙ্গে ভাবের এমনি একটা মাখামাখি ছিল যে তাহা সকলেরই হৃদয় স্পর্শ করিত। তারপর সত্যেন্দ্রনাথ বোম্বাই চলিয়া গেলে, জ্যোতিবাৰু, তাহার সেজ, দাদা ( vহেমেন্দ্রনাথ ) ও বড় দাদা ( দ্বিজেন্দ্রনাথ ) ব্ৰহ্মসঙ্গীত রচনা করিতেন । এই বিষয়ে মহর্ধিদেব তাহদের খুব উৎসাহ দিতেন। তখন বড়বড় গায়কদিগকে জোড়াসাকোর : বাড়ীতে আশ্রয় দেওয়া হইত। জ্যোতিবাবুর তিনজনকে বেশ স্পষ্ট মনে আছে —রমাপতি বন্দ্যোপাধ্যায়, শাস্তিপুরের প্রসিদ্ধ জমীদার রাজচন্দ্র বুয়ে এবং যত্ন ভট্ট। রমাপতি নিজে একজন ভাল গায়ক ত’ ৰ হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর छांब्राउँ ভাদ্র, ১৩২১ ছিলেনই, তার উপর তিনি নিজেও অনেক গান রচনা করিতেন। সে সমস্ত গান, এখন আমাদের দেশে সুপরিচিত"। র্তার গানের শেষে “রমাপতি ভণে” বলিয়া ভণিত থাকিত। যদু ভট্টও নিজে হিন্দি গান রচনা করিতেন। র্তাহার গানের সুর-বিস্তাসে যথেষ্ট নিপুণতা এবং মৌলিকতা ছিল । ইহা ব্যতীত তিনি পাখোয়াজের নূতন নুতন অনেক উৎকৃষ্টবোলও রচনা করিতেন। জ্যোতিবাবু বলিলেন, “আমি দেখিয়াছি কলিকাতার তখন কোন কোন প্রসিদ্ধ পাখোয়াজী তাহার নিকট বোল আদায় করিবার জন্য বাস্তবিকই তাহার পায়ে ভৈল মঞ্চন করিত। ইহাদের গান ভাঙ্গিয় তখন আমি এবং বড় দাদা ( দ্বিজেন্দ্রনাথ ) আমরা অনেক ব্ৰহ্ম সঙ্গীত রচনা করিয়াছিলাম। কি সৌধীন কি পেশাদার কোনও গায়কের কোনও গান ভাল লাগিলে, সেইটি টুকিয়া লইয়া আমরা ব্রহ্মসঙ্গীত রচনা করিতে বপিতাম। এইরূপে ব্ৰহ্ম সঙ্গীতে অনেক বড় বড় ওস্তাদী সুর ও তাল প্রবেশ লাভ করিয়াছে। বাঙ্গালায় সঙ্গীতের উন্নতি এমনি করিয়াই হইয়াছে। এর পরেই ক্রমান রবীন্দ্রনাথের আমল। তাছার অসামান্ত কবি প্রতিভা এখন ব্ৰহ্ম সঙ্গীতকে প্রায় পূর্ণতায় পৌছাইয়া দিয়াছে। নানা স্বর, নানা ভাব, নানা ছন্দ, নানা তাল ব্রহ্মসঙ্গীতে আজ তাহারই দেওয়া। তার বীণা এখনও নীরব হয় নাই।” তখন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রায় সঙ্গীত চর্চাতেই অধিকাংশ সমর অতিরাহিত করিতেন। নাটক অভিনয় করিবার দিকেও র্তাহার কোক ছিল। এবিষয়ে তাহার গুণু