পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা সহজ নহে । নিয়শ্রেণীতে জননীর সহিত সস্তানের, সাদৃপ্ত . খুব কম ৷ জননীর চিনিবার শক্তি যদিও খুব বেশী হয়, তাহ} হইলেও সে তাহার সস্তানকে চিনিতে পারে না। প্রবাদ আছে কোকিল তাহার প্রস্বত অণ্ড কাকের নীড়ে স্থাপিত করিয়া কাককে প্রতারিত করে। এইজন্ত কোকিলের নাম ' পরভৃৎ । নানাবিধ রেশমকীট ও প্রজাপতির মধ্যে পতঙ্গজননীর সহিত গুটীপোকার কোনই সাদৃগু নাই । কিন্তু দেখা যায়, औद बङई उंब्रड इहेबाइ, उड३ ‘हेि সাদৃপ্ত বৃদ্ধি হইয়াছে। কিন্তু এজন্ত প্রকৃতি হঠাৎ ভ্রণের কোন বাহিক. পরিবর্তন করে নাই । সে কেবল ঐ ভ্রণের একটু আভ্যন্তরিক পরিবর্তন করিয়াছে মাত্র । কেবলমাত্র সে অগুগত জীবকে আদেশ করিয়াছে যে, “ষত দিন পর্য্যন্ত তুমি” তোমার জননী-সাদৃত লাভ . করিতে না পার, ততদিন পর্য্যন্ত তোমাকে ঐ অণ্ডাবরণের মধ্যে বাস করিতে হইবে । ফলে তোমার অগু-জীবন কিঞ্চিৎ দীর্ঘতর হইবে” । অগুজজীব যতই উন্নত হইতে থাকে, তাহার অগুজীবন ততই দীর্ঘতর হয় । প্রকৃতি তাহার অঙ্কিত চিত্র একেবারে মুছিয়া · ফেলিয়া . আবার নূতন করিয়া চিত্রাঙ্কন আরম্ভ করে না । কেবল তুলিকার সাহায্যে কয়েকটা নুতন রেখা টানিয়া সে ঐ চিত্রের পরিবর্তন সাধন করে মাত্র। প্রকৃতুি নিজের কার্য্যের একটা মৰ্য্যাদা রক্ষ{ করিয়া থাকে। সে কোন কৃতকৰ্ম্ম আমূল পরিবর্তিত করিতে চাহে না, কেবল আৰখক হইলে উহা সংস্কৃত করে মাত্র। बांछूद् ds^• উন্নত জীবরাজ্যে জননীর সহিত সস্থানের সাদৃপ্ত যদিও সম্পূর্ণ নহে, তথাপি উহ যথেষ্ট। হংসশিশুকে দেখিলে কখন পারাবতশিশু বলিয়া মনে হয় না ; কুকুরছনাকে কেহ ছাগ অথবা মেযশাবক বলিয়া ভুল করে না বা বিড়ালশাবককে কেহ শশক শিশু বলে না । মাতৃত্বের অভিব্যক্তির তৃতীয় প্রণালীটি উল্লিখিত দ্বিতীয়টি অপেক্ষ অধিক তর. প্রয়োজনীয় । জন্মমুহূৰ্ত্ত হইতেই সন্তানট যদি সক্ষম বীর হইত, তাহ হইলে জননী এবং সন্তানের মধ্যে পরিচয় স্থাপন অনাবশ্বক হইয় পড়িত এবং ঐ কার্য্যের জন্ত কোন কৌশল উদ্ভাবনেরও ‘ প্রয়োজন হইত না । ,সন্তানের সহিত * মাতার একটা অচ্ছেদ্য সম্পর্ক ও বাধ্যবাধকতা স্থাপন করিবার নিমিত্ত প্রকৃতি একটা মুন্দর ব্যবস্থা করিয়াছে , জীব যতই উন্নত শ্রেণীতে আরোহণ করিয়াছে, তাহাদের শৈশবদুৰ্ব্বলতা ততই বৃত্তি প্রাপ্ত হইয়াছে । এই দুৰ্ব্বলতার সময় আত্মরক্ষার জন্ত সন্তান জননীর সাহায্য ভিক্ষা করিতে বাধ্য হইয়াছে। "মুঠি নিম্নশ্রেণীর"জীবৃশিশু,জন্মমুহূৰ্ত্ত হইতেই জীবন-যাত্রায় সক্ষম। জননীর সাহায্য প্রার্থনা, কর দূরের কূথ, জননীর সহিত পরিচিত হইবারও তাহার প্রয়োজন নাই । অপেক্ষাকৃত উন্নত স্তরের জীব পক্ষি শিশু তাঞ্জার শৈশবাবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ, ভরণ-পোষণ প্রভৃতির জন্ত জননীর সাহায্য গ্রহণ করে এবং তাছার আশ্রয়ে থাকিতে বাধ্য হয় । কিন্তু শৈশবান্তে যখন সে স্বতন্ত্রভুবে জীবনাতিবাহিত করিতে