পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা —ও ! দূতী হয়েছিস । হাঝর-মা ভুেলে-বেগুনে জলিয়া উঠিয়া বলিল—তুই দূতী হ গে যা! তোর সাতগুষ্টি দুতী হোক গে! পোড়ারমুখীর যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা!..যুই দেধিন রাণীমাকে বলে দেই গে• • • • • • 動 • ছাবার-মা আশ্চৰ্য্য হইয়া দেখিল রোহিণী চটল না ; মুচকি হাসিয়া চোখ টুকাইয়া বলিল—যা না, রাণীমাকে বলে দেখ গে না, রাণীমা পুজো করবেন ’খন। মালতী ছড়ি একজন পুরুষ মানুষকে ডাকতে বল্পে আর তুই ডাকতে ছুটলি-রাণীমা ট্রের পেলে যে তোর চাকরী যাবে। ভাগ্যিস তোের আমার সঙ্গে দেখা হল ? @ হাবার-মা ভীত হইয়া বলিল—সত্যিই ত! , ভাগ্যিস তুই ডেকে জিজ্ঞেস করলি ! যাই বলিগে যে দিদিমণি, আম দিয়ে এ কাজ হবে ' नां । . . রোহিণা বলিল—দূব নেকী । তাতে আর তোর বিপদ কাটল কৈ ? রাণীমা যদি টের পায় যে হাবার-মাকে মালতী - এই কথা বলেছিল কিন্তু হাবার-মা আমাকে কিছু জানায় নি, তখন রাণীমার কাছে কোন মুখে কি জবাব দিবি ? তার চেয়ে এখনি ' রাণীমাকে সব কথা বলগে যা—তোর ওপর কেনে ঝুঁকিই পড়বে না। 飘 * > হাবার-মা রোহিণীর বুদ্ধি বিবেচনা দেখিয় অবাক হুইয়া বলিল—ঠিক বলেছিস ! তাই বলিগে তৰে। 鲁 魯 হাবীর-মাকে গিল্লির কাছে নালিশ করিতে পাঠাইয়া দিয়া রোহিণী এক ছুটে মালতীর কাছে গিয়া স্থাপাইতে হাপাইতে স্রোতের ফুল eest . বলিল—দিদিমণি, করেছ কি, আঁ্যা k এমন অল্প বুদ্ধি তোমার ! ”মালতী আশ্চৰ্য্য হইয়াবলিল—কেন, কি করেছি ? রোহিণী পরম ব্যথিত ভাবে কপালে চড় মারিয়া বলিল-করেছ আমার মাথা আর আমার মুণ্ড ! দাদাঠাকুরকে ডাকতে চাও তা আমায় বললে হত। আমায় ত তুমি ছচক্ষে দেখতে পার না! তোমার বিশ্বাসের লোক” হল কিনা হবার মা ! সে ওদিকে রাণীমাৰ কাছে গিয়ে সব বলে দিয়েছে। . মালতী বিরক্ত হইয়া বুলিল—তা বলেই ব! এর মধ্যে লুকোবার কি আছে ? ৰোহিণী গবুে হাত দিয়া পরম বিস্ময় প্রকাশ করিয়া বলিল—অবাক করলে । দিদিমণি । পুরুষ মানুষকে ডেকে পাঠাবে কি গায়ে ঢ়ে ঢরা পিটিয়ে ! আমাদেরও এককালে সোমৰ্থ বয়েস ছিল বটে, কিন্তু এমন বুকের পাট ছিল না বাপু ! মাবতী ক্রোধে বিবর্ণ হইয়া বলিল—দুর হ তুই আস্থার সামনে থেকে। @ রোহিণী মুচকি হাসিয়া চোেখ মটকাইয় বলিল—ইদ দ্বীপরে । রাণী আর কি, ভয়ে পিপড়ের গৰ্ত্তে লুকোবো, নাকি ? এখনি রাণীমা এসে কাকে দূর করেন দেখা যাৰে । মালতী তাড়াতাড়ি সেখান হইতে চলিয়া গেল । 鬱 ● ক্রোধে লজ্জায় অপমানে আসন্ন লাঞ্ছনার সম্ভাবনায়, অভিভূত হইয়া মালতী আর দাড়াইতে পারিতেছিল না। সে ঘরে গিয়া বিছানায় গুইয়া পড়িল । খুড়িমা মেঝের বসিয়া মালা জপ করিতে