পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা আমি ত কখন দেখি নি ; তুমি কি আমাদের • গ্রামের লোক নe ?” বৃদ্ধ উত্তর করিল :– আমি কোন গ্রামেরই নই, আমি এই পৃথিবীৰষ্ট লোক নই। আমি স্বৰ্য্যেৰ জননী ;– আমার নাম অভ্রময়ী।' তোমার দুঃখে আমার মন বিচলিত হয়েছে । তোমার নির্দোয়ু চরিত্র ও তোমার দয়া আমার বড় ভাল লেগেছে। তুমি আমার সম্মুখে হ্লাটু গেড়ে বোসো-আমি তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করি – তোমাব মনস্কামনা পূর্ণ হবে।” এই কথায় বিঘ্নিত হইয়া অভ্রবর্তী আরও মনোযোগের সঙ্গে বুদ্ধাকে দেখিতে, লাগিল ; দেখিল এ পৃথিবীর কোন জীবের সঙ্গেই তার সাদৃগু নাই । তার চোখ দিয়া স্থৰ্য্যকিরণের মত কিরণ বাহির হইতেছে—অথচs সেই কিরণের তেজে চোখ ঝলসাইতেছে না। তার কথা কহিবার ধরণটি এমন মধুর, তার কণ্ঠস্বর এমন মিষ্ট, যেন তার-নিজের মায়ের মুথের কথা শুনিতে পাইতেছে। অভ্রময়ীর পরিচ্ছদ হইতে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাহির হইতেছিল ; যেন সেই ‘ কাপড়, গলানো সোনা, সেলাই করা কাপড়নহে । 飘 婚 অভ্রবর্তী স্বৰ্য্যজননীর সম্মুখে ইটু গাড়িয়া বসিল । মাথা নীচু করিয়া তার পরিচ্ছদ अाप्रुँ हूर्तन कृब्रिाङ ख्श्रङ' श्हेण ? डि সেই দয়াময়ী বৃদ্ধ বালিকার মাথা তুলিয়া ধরিয়া এবং তাহার উপর হাত বাড়াইয়া দিয়া, এইরূপ আশীৰ্ব্বাদ করিল –“তোমার পদক্ষেপে যেন চামেলী ফুটিয়া উঠে ; তোমার হাসিটি ধেম গোলাপের মত হয় ! তোমার অশ্রুবিন্দু যেন মুক্তার মত দেখিতে হয়। , আমেনী-দেশের উপকথা বৃশ্চিক ব - C ¢ ፃ ፄ সৰ্প যেন তোমাকে দংশন করিতে না পারে! তোমার মাথার আমি ীেন রাণীর মুকুট দেখিতে পাই ! রজতকাঞ্চনময় প্রাচীর ও রত্নখচিত কুটমবিশিষ্ট রাজপ্রাসাদে যেন তুমি বাস কর । বাছ আমি আশীৰ্ব্বাদ করি, দুঃখকষ্ট যেন তোকে স্পশ করতে না পারে, তোর মাথার এক গাছি চুলও যেন নষ্ট নহয় ।” 意 এই কথা বলিয়া অভ্রমী বালিকাকে ভূমি হইতে উত্তোলন করিয়া চুম্বন করিলেন। এবং তাকে বলিনে – * , “এই চুম্বনে তোর রূপলাবণ্য আরও যেন বৃদ্ধি পায়।” পবে তাকে একটি ছোট গার্টুরি দিলেম, সেই গটরির মধ্যে একটি পরিচ্ছদ ছিল ৭ কিন্তু সে কি-পরিচ্ছদ ! সে পরিচ্ছদ তারকার মত উজ্জ্বল রত্নখচিত, আর এমন সুক্ষ যে কাপাস বা রেশমেৰ বলিয়া মনে হয় T ন,—মনে হয় যেন . স্বৰ্য্যকিরণে তৈরী ৮ অভ্রময়ী বলিলেন :– 飘 - “ধতুদিন না বিবাহ হয়, এই পরিচ্ছদ তোমার বক্ষুের উপব রাখবে; আর : বিবাহের দিন, এই পরিচ্ছদ . পরিধান । করবে। শুদ্ধচিত্ত ও সতীসাধ্বী হয়ে থাকবে।. আমি এখন যাই, আমার পুত্র আমার জন্ত । অপেক্ষা করটে ।” - এই কথা বলিয়া অভ্রময়ী সোনার মেঘের মত দিগন্তের অভিমুখে নিঃশব্দে ও অবাধ গতিতে, চলিয় গেলেন। তাছার পুত্র সেইখানে অপেক্ষা করিতেছিল—তাহার সঙ্গে অন্তৰ্হিত হইলেন। অভ্রবতী এই মুষ্ট্রির আবির্ভাব হতবুদ্ধি হইয়া মনে মনে