পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা আর সময় নেই। আজ রাত্রেই সেই নাচ । —মুখসু না হলে যে নাচ হবে না। জেঙ্গোরার জন্তে সব মাটি! কোয়াঞ্জি ভয়ঙ্কর রেগে উঠল – সে আর নিজেকে সামলাতেন পেরে জেঙ্গোরার পিঠের উপর সজোরে এক লাথি মারলে। জেঙ্গোর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল । তার ছেলে ছিল সেইখানে দাড়িয়ে। বাপের এই অপমান দেখে তার সর্বশরীর জলতে লাগল। কিন্তু সে কি করবে ? সে ছেলেমামুষ ! কোয়াঞ্জির অসীম প্রতাপ ! সে নিরুপায় হয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কেবল ফুলতে লাগল। &P e e নেশা করে করে জেঙ্গোরার শরীর ক্ষয় হয়ে এসেছিল— এই আঘাত সে কাটিয়ে উঠতে পারলে না, তাতেই তার মৃত্যু হল। 擎 肇 肇 অনেক দিন কেটে গেছে। জোঙ্গেরীর" নাম তখন লোকে একরকম ভুলে গেছে , আরএকজন নতুন কারিগরের নাম তখন বাজারে জেগে উঠচে। সে মাকি চমুৎকার মুখস তৈরি করে । . . . কোয়াঞ্জি অনেকদিন ধরে একজন ভাঙ্গে কারিগরের সন্ধান করছি। সেইই উৎসবের সময় ঠিকমতে মুখস তৈরি হয়নি বলে তার ” আর এপর্যন্ত সেই নুতন নাচটা নাচ . छदन् § ৬২১ করতে হবে। কারিগর মন দিয়ে সব-শুনলে, সাবধানের সঙ্গে মাপজোক সব ঠিক করে নিলে। তারপর যখন মুখোস তৈরি হয়ে এল তখন কোয়াঞ্জি একেবারে অবার্ক—এ যেন ঠিক জেঙ্গেরার হাতের কাজ ! এমনটা সে আশা করেনি। 瞳 সেই মুখস পরে লে নাচতে ; সেদিনকার নাচ অনেক দিন পরে আবার খুব জমে উঠলো। কোয়ারি মনে আনলে ঘুরে ফিরে সেই নাচ বার বার করে নাচলে - চারিদিকে বাছবা পুড়ে গেল। . তার পর সেই রাত্রে সে যখন শ্রান্তক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে এল তখন মুখ থেকে মুখস খুলতে গিয়ে দেপে মুখস আর খোলে না । টানাটানি করতে করতে মুখ যতই ফুলে উঠল—কাঠের মুখসটা ততই এঁটে বলে যেতে লাগল। প্রাণ,যায় ! .مقبس কোয়াঞ্জি হুকুম দিলে—কারিগরকে ডেকে নিয়ে আয়—সে এসে মুখস খুলুক। কারিগর এসে সেলাম করে দাড়াল। কোয়াঞ্জি হাপাতৃে ইপিাতে বল্লে-- %ုံ၊ যে খোলে না ’ । , কারিগর গভীরভাবে বল্লে—“কি কয়ব হুজুর!” সেবার আমার বাবার হাতের মুখস • আপনার মুখথেকে খুলে পড়েছিল বলেআপনি. হয়নি,-সেই জন্তে তার মনে ভারি ক্ষোক্ত তার প্রাণবধ করেছিলেন-সেইজন্ত আমি ছিল। এই কারিগরের সন্ধান পেয়ে তার . नि উৎফুর হয়ে উঠল—সে তখনই তাকে ডেকে প্লাঠালে। 's & s কারিগর যখন এল তখন কোপ্পাঞ্জি খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিলে কেমন-ধারা মুখোস তৈরি সাবধান হয়েছি—যাতে মুখ থেকে আর মুখল না খোলে! এতদিন ধরে আমি এই বিদ্যাআয়ত্ত করবার সাধনাই কছিলুম।" , এই কথা বলে সে হেসে উঠল। কোয়াঞ্জি জ্ঞানশূন্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ল। "