পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীঘাটে সম্প্রতি বাঙ্গলার মুচুব্রিাহ্মণমণ্ডলী যে মহাগর্জন করেছেন তাতে আমাদের ভয় পাবার কোনও কারণ নেই! কেননা সে গৰ্জ্জনের অনুরূপ বর্ষণ হবে না ; কিন্তু লজ্জিত হবার কারণ আছে, কেননা শাস্ত্রে বলে—বহু আরম্ভে লঘু ক্রিয়া অজ-যুদ্ধেই শোভা পায়। মানুষে ওরূপ ব্যবহাব করলে, মানুষুেব তাতে, হাসিও পায়—কান্নাও পায় । আমি বিলেত-ফেবৎ, অর্থাৎ ৰাহ্মণ সমাজের নাম-কাট-সেপাই ; কিন্তু নাম-কাট হলেও সেপাই স্বতরাং ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা কালীঘাটে যে প্রহসনের অভিনয় কবেছেন, তার জন্ত লজ্জিত হবার আমার অধিকার আছে। শুধু তাই নয়, ‘আমি ইংবাজিশিক্ষিত এবং বাঙ্গালী, এবং এই দুই কারণেই এই বিনা-মেঘে গৰ্জনরূপ ৰ্যপাবুটিতে 'আমি ভীত ন হই, স্তম্ভিত হয়ে গেছি। © (>) আমার একটি বিদ্বান এবং বুদ্ধিমান কায়স্থ বন্ধু আমার প্রতি কটাক্ষ করে এই কথা বলেন যে, ব্রাহ্মণ যথেষ্ট ইংরাজি শিক্ষা লাভ করলেও, বিলেত গেলেও, তার, ব্রাহ্মণত্বেব অহঙ্কার এবং তজ্জনিত মানসিক সঙ্কীর্ণত “ত্যাগ করতে পারে না। আমার অপরাধ এই যে, ব্রহ্মবিদ্যা যে ক্ষত্রিয়ের আবিষ্কার এবং কায়স্থ যে ক্ষত্রিয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমি ইতস্ততঃ করি। আমার, বিশ্বাসু-লে আমি ব্রাহ্মণ বলে t আইন ব্যবসায়ী বন্মে। কিসে কি প্রমাণ হয়, আব না হয়, সে বিষয়ে আমার কতকটা জ্ঞান ব্রাহ্মণ মহাসভা . গ্রাহ হবে ন । আছে। সে যাই হোক, পূৰ্ব্বোক্ত অভিযোগ যে কতক পরিমাণে সত্য, এ কথা কোনও ব্রাহ্মণ-সন্তান পৈলু ছুয়ে অস্বীকার করতে পারবেন না । *জাত্যভিমান আমাদের মনেব কোণে, অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে નૈસર সময়ে অসময়ে বের হয়ে পড়ে। কুল গৌৰব করাটা এদেশে যদি কারও পক্ষে মার্জনীয় হয় ত সে ব্রাহ্মণের পক্ষে। আমি জানি ঙ্গে আমরা যে মুনিখুষদের বংশধর এ কথা আজকাল নিৰ্ভয়ে বলা চলে না। কেননা তারা ব্রাহ্মণ ছিলেন কিম্বা ক্ষত্রিয় ছিলেন তাই নিয়ে এমন একটি তর্ক উত্থাপিত করা ,হয়েছে যার মীমাংসা হওয়া অসম্ভব । কিন্তু আমাদের জাতিগৌরব প্রতিষ্ঠা করবার জন্তে এ মামলার একটা চূড়ান্ত নৃিপত্তি করবার , দরকার নেই। উপনিষদ, ক্ষত্রিয়ের পৈতৃক .সম্পত্তি হলেও, ব্রাহ্মণে তা এতকাল ধরে ভোগদখল কবে আসছেন যে সে দখলী সত্ত্ব নষ্ট করবার জন্ত কেনে পুবাণে দলিল দস্তাবেজ আব সমাজের আদালতে বহুকাল ধবে যে যোগস্থত্র হিন্দুর অতীতকে তার বর্তমানের সঙ্গে বেঁধে বেখেছে—সে হচ্ছে যজ্ঞস্বত্র । দুর অতীতের কথাও ছেড়ে দিলে" সত্যু কারও অস্বীকার কববার মাে নেই যে, ভারতবর্ষের সাতশ বৎসর ব্যাপী ঘোর অমানিশার মধ্যে যে জাতি বিছর ধীয়ের প্রদীপ জালিয়ে রেখেছিলেন, অশেষ দুঃখ দৈন্ত নৈরাখের মধ্যে যে জাতি সাগ্নিকের অগ্নির মত সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্যু সযত্নে রক্ষা করে এসেছেন, সে জাতির t