পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8મ સદ્ધ વૈષમ નવા o .বিভিন্ন । শাস্ত্রের ধৰ্ম্ম হচ্ছে অতীতের “যুগধৰ্ম্ম” ; সুতরাং বৰ্ত্তমানের “যুগধৰ্ম্ম” শাস্ত্রেব সম্পূর্ণ অধীন হতে পারে না .. আমরা বাঙ্গল দেশের নব্য-তান্ত্রিকেরা, বর্তমানেৰ “যুগধৰ্ম্ম” অনুসারেই জীবন গঠন করবাব চেষ্টা করছি। সে জীবন শাস্ত্রের দ্বারা কেউ সম্পূর্ণ শাসিত করতে পারবে না। যদি কেউ বলেন যে, স্বয়ং চৈতন্যও যখন এ সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড় তুে পারেন, নি, তখন তোমবা কি ভরসায় হিন্দু সমাজকে ভেঙ্গে গড়তে চাও ? ও চেষ্টাৰ ফুলে বড় জোঃ তোমরা একটি নূতন ভেকধারীর দল গড় বে।. এর উত্তরে আমাদের বক্তব্য এই যে, কেবল মাত্ৰ মনেব জোরে সমাজের সম্পূর্ণ বদল করা যায় Fil, — যদি না- সামাজিক অবস্থা সেই মনের সহায় হয় । চৈতন্যর সময়- এমন কোনও বাহ্য ঘটনা ঘটে নি, যাতে করে সমাজকে পরিবৰ্ত্তিত হতে বাধ্য করতে পাৰ্বত । তখনকার সমাজের গায়ে কৰ্ম্ম-জীবনেব প্রবল ধাক লাগে নি । কিন্তু আমাদেব অবস্থা স্বতন্ত্র । একদিকে ইংরাজি শিক্ষা আমাদের মনের বদল করছে, অপর দিকে ইংরাজের , শাসন, আমাদের কৰ্ম্মজীবনুে অভূক্তপূৰ্ব্ব নুতনত্ব দিচ্ছে। আমাদের কৰ্ম্মজীবনের সঙ্গে বর্ণাশ্রম ধন্মের কোনই যোগ নেই। ওকালতি, জজিয়তি, ডাক্তারি, মাষ্টারি, এঞ্জিনিয়ারি, কেরাণিগরিতে বর্ণভেদ নেই, আশ্ৰমভুেদ নেই। বিষ্ঠীয়ে ও কৰ্ম্মক্ষেত্রে সকলে ಶ್ಲ: ছোট বড়র প্রভেদ ব্যক্তিগত ;—জাতিগত নয়। সে প্রভেদ কৃতিত্বের উপর নির্ভর করে ;– ব্রাহ্মণ মহাসভা ዓ¢ জন্মের উপরে নয়। সুতরাং. জাতিভেদ এখন সমাজে নেই ;-আছে শুধু ঘবে। তার পর তুমি চাও, আর না, চাও, কন্মজীবনের বাধাস্বরূপ অশনবসনের সামাজিক * নিয়ম, নিষ্কৰ্ম্ম ছাড়া অপর, সকলেই লঙ্ঘন করতে বাধ্য। সেই কারণে বাঙ্গলাদেশেৰ যত নিষ্কৰ্ম্মার দলই, অর্থাৎ, জমিদার ও ব্রাহ্মণপণ্ডিতের দলই খাদ্যাথাষ্ঠের বিচাররূপ অকিঞ্চিৎকর বিষয় নিয়ে বৃথা কালক্ষেপ করতে পাবেন । সুতরাং শুধু জ্ঞানে নয়, কৰ্ম্মৈও-এই নৱযুগ আমাদের সমাজ-শাসুনের বহিভূত করে স্বাধীন করে দিচ্ছে। যে জ্ঞানের ও যে কৰ্ম্মের, স্রোত আমাদের সমাজের ভিতর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছে—তার গতি কেউ ফেরাতে , পাববেন না । ও যমুনা উজান বহাতে স্বয়ং ভগবানের বাশির আবশুকু। কিন্তু আশা করি, ব্রাহ্মণের বংশধরেরা নিজেদের বংশধারী। বলে মনে করেন না। তা ছাড়া, স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণও • যদি ধবাধ্যমে পুনরাগমন করে’ বাশি বাজান, তাহলে, এ যক্ষ যতক্ষণ সেই বাশি বাবে ততক্ষণ উজান রইরে। সে বশি যেই থামা, অমনি আবাব স্রৈাত সুমুখের দিকে ছুটবে,—সম্ভবতঃ দ্বিগুণ বেগে । এ স্লোতের বলে সমাজে যে ফাঢ় ধরেছে সে -বিষয়ে কোনও গন্দেহ নেই,-কিন্তু তা বলে ভয় পাবার কোনও কাবু নেই । যে ফাট দেখা দিয়েছে উী ভাঙ্গনে পরিণত হবে,–কিন্তু রাতারাতি নয়। তার পব পূৰ্ব্বকুৰে য শিকুস্তি হবে পশ্চিম কূলে আবার তাই পয়স্তি হবে। এই নূতন জীবনের’ স্রোত সামাজিক মনীের ও চরিত্রের ক্ষুদ্রত্ব ভেঙ্গে, কি মহত্ব গড়ে তুলছে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দামোদবের বন্যার