পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro এই গুরুমুহাশয়টি এককরে সেকেলে গুরুমহাশয়ের জলন্ত আদর্শ। রং কালে, গোপ যোড়া মুড়া-খ্যাংরার . স্থায়, কঁচা পাকায় মিশ্রিত । চুল লম্ব, উড়েদের মত পিছন দিকে গ্রন্থিবদ্ধ । o e. -ঠাকুরদালনে একটা ধালিপড়া মাছরের উপর পাঠশালার ছেলেরা বসিত । গুরুমহাশয়ের মুখে কখনও হাসি দেখা যাইত ন; যদি বা ওষ্ঠ প্রান্তে কখনও একটু হ সির বক্ররেখা দেখা দিত ত’ সে মৃতীব্র কুটিল হাসি । ছাত্রদের বেত মারিবার সময় সে হাসিটুকু ফুটিত r বোধ হয় সে শুধু হাতের মুখ অনুভব করিয়া । গুরুমহাশয় পড়াইবার সময়, অৰ্দ্ধ-উলঙ্গ অবস্থায়, পা ছড়াইয়া “গুরুচ্ছাদি তৈল মর্দন করিতেন । সে, তৈলের কি-একটিকেল গন্ধ। তার এক গাছি ছোট তে ছিল, নিজের দেহের সঙ্গে সঙ্গে সেটিকেও তিনি সযত্নে তৈল মাথাইতেন । নিয়মিত তৈলমর্দনে বেত গাছটিতেও বেঁশ, একটা পাকা রং ধরিয়ছিল। এই বেত্রটির উপর গুরুমহাশয়ের পুত্রবাৎসল্য ছিল। একবাব র্তার সেজদাদা ৮হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় দুষ্টামি করিয়া এই বেতপানিকে লুকাইয় রাখিয়াছিলেন, ‘তাঁহাতে গুরুমহাশ্নয়ের ঠিক যেন পুত্ৰশোক উপস্থিত হয়। পরে অনেক ধোসামুদি, সাঁধ্যসাধনা; করিয়া বেতটি র্তার নিকট হইতে ফিরিয়া পাইয়। তবে তিনি প্রকৃতিস্থ হয়েন। অপরাধে, বিনা অপরাধে, যখন তখন, এই বেত গাছটি ছাত্রদিগের পৃষ্ঠসংস্পর্শে আসিত। আশ্চৰ্য্য এমনি র্তাহার ইস্তকওয়ন যে, যখন ছুটি দিতেন তখনও দুই চারি বা পটাপটু বুেত্রাঘাত ভারতী •

" : গিয়াছেন।

বৈশাখ, ১৩২১ ন স্থির থাকিতে পারিতেন না, আর সেই সঙ্গে কতকগুলা অকথ্য গালিবর্ষণও যে ন হইত, তাহাও নয় । (or ইহার পর বাড়ীতে মাষ্টারের কাছে ইংরাজী পড়া আরম্ভ হইল। তখন জ্যোতি বাবুর অভিভাবক তাহার সেজ দাদা (স্বর্গীয় হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর ) । তাহার শিক্ষারীতিও সেকালের অনুরূপ অতি কঠোর .ছিল। অষ্টপ্রহর ঘাড় গুজিয়া টেবিলে বসিয়া পড়িতে হইত। মিছামিছি সময় নষ্ট হইবে পলিমা, তিনি খেলিতেও ছুটি দিতেন না । যখন বাড়ীর অন্তান্ত বালকগণকে খেলিতে দেখিতেন, তখন জ্যোতিবাবুর যে কি কষ্ট হইত, ভাহা বর্ণনাতীত। র্তাহার মনে হইত, তিনি যেন জেলখানায় আছেন—সমস্ত জগৎব্রহ্মাণ্ড তাহার নিকট অন্ধকারময়— তাহার হৃদয় ঘোর বিষাদে আচ্ছন্ন হইত। হেমেন্দ্রবাবু অবশ্য র্তাহার ভালর জন্তই কিন্তু ইহাতে ষ্টিতে বিপবীত হইল। লেখাপড়ার উপর তার একটা বিষুম বিতৃষ্ণ জন্মিল। হেমেন্দ্রবাবু জ্যোতিবাবুকে মুগুর-ভাজা, ডন ফেলা প্রভৃতি অভ্যাস করাইতেন, এবং তাহাকে সন্তৰুণ-বিষ্ঠা শিখাইয়ুছিলেন। এই সকল শিক্ষার জন্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাহার সেজদাদা হ্লেমেন্দ্র বাবুর নিকট চিরকৃতজ্ঞ। , toy হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর কিছুদিন মেডিক্যাল কলেজে পড়িয়াছিলেন । বিজ্ঞানে তাহার বিশেষ ঝোক ছিল, তিনি অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক সংস্কৃত্ব সাহিত্যে তার প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। .সদা সৰ্ব্বদাই তিনি সংস্কৃত কাব্য নাটকাদির আলোচনায়