পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პაპyთ স্থানে পাহাড়ের উপরে একটি পাথরে বাধান পুষ্করিণী আছে। उtझांद्र চারিদিকে পাথরের প্রাচীর ও উত্তরদিকে ক্ষুদ্র ধৰ্ম্মশালা। জল দেখিলেই বুঝা যায় যে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর । পুষ্করিণীতটে এক মৃবৃহৎ বটবৃক্ষ। তাহার পাতা পচিয়া জলটি আরও খারাপ করিয়াছে। শুনা যায় এই পৰ্ব্বতের উপর বিষ্ণু নরসিংহ অবতারে হিরণ্যকশিপুকে সংহার করিয়! এরূপ বেগে আপনার গদা নিক্ষেপ করিয়াছিলেন যে, তাহাতে পৰ্ব্বতগাত্রে এক বৃহৎ अझैप्बब श्रृष्ट इग्न। डांश श्हेप्डहे এই পুষ্করিণীর উৎপত্তি । নিকটেই দুইটি মন্দির ; তাহাতে নরসিংহ অবতারের দুইটি বৃহৎ মূৰ্ত্তি আছে। রামগিরির অন্ততম নাম তপোগিরি ; অপর নাম সিন্দুরগিরি। এই পৰ্ব্বতের প্রস্তর ভেদ করিলে ইহার অভ্যন্তর রক্তবর্ণ দেখায় । সুৰ্য্যের আলোকে এই বর্ণ বিশেষ ফুটিয়া উঠে। কথিত আছে হিরণ্যকশিপুর রক্তে পৰ্ব্বতের সমগ্র প্রস্তর লোহিত হইয়া গিয়াছে। বটবৃক্ষের নিম্নে অনেক সাধু ধুনী জালিয়া কেীপীন পরিয়া বসিয়া আছেন। আর দেখিলাম তাহীদের সঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া এক হইয়া অনেক মুসলমান ফকির রহিয়াছেন । র্তাহারাও মুক্তকণ্ঠে রামনাম বলিতেছেন । ইহার কারণ অচিরেই বোধগম্য হুইল । কয়েক পদ অগ্রসর হুইলেই মন্দির দ্বারে এক মসজিদ দেখা যায়। এই সকল ফকির তাহারই সম্পর্কে এ স্থানে বাস করেন । কিন্তু হিন্দু সন্ন্যাসীগণের সহিত তাছাদের অপূৰ্ব্ব সোচার্দ দেখিয়া আশ্চর্য হইয়া গেলাম। আমি কলিকাতা হইতে আসিয়াছি। হিন্দু ভারতী । মাঘ, ১৩১৮ মুসলমানে প্রভেদনীতির চরম আয়োজন मश्ब्र निझखङ्गं cथिब्रां धरिं ।। १.५५ গ্রাম্য জীবনে এ দৃপ্ত বিরল ন হইeে আমার চক্ষে ইহা বিচিত্র বলিয়া বোধ হইল। ফকিরগণ একই নিশ্বাসে রাম ও রহিমের নাম গ্রহণ করিতেছেন। গুনিয়া আমার সেই গান মনে পড়িয়া গেল :– রাম রহিমে না জুদ কর ভাই, দিলকে সাচ্ছা রাখ জি ।” বেলা অনেক হইয়াছিল ; কিন্তু তখন পর্য্যস্ত মানাহারের কোন সম্ভাবনা দেখিতেছিলাম না । ইহাতে কাহার মন না উতল হইয় উঠে ? শুনিলাম মারহাটাদের Rč*II paying guest system (2ị5feis আছে ; অর্থাৎ কোন সচ্ছল পরিবারে অতিথি গিয়া আশ্রয় লইলে, তাহার আহাৰ্য্য মিলে, তিনি তৎপরে মূল্যাদি মিটাষ্টয়া দেন । পণ্ডিতজি আহারের বন্দোবস্তে মনোনিবেশ করিলেন । তিনি স্বৰ্য্যর প্রকে ; রামটেক নগরের একজন বদ্ধিষ্ণু মালগুঞ্জারের ( জমিদার ) বাট পাঠাইয়া দিলেন । বলিয়া দিলেন যেন ঙিন জনের অল্প ও চারি জনের “পুড়া" ( আটাব লুচী ) প্রস্তুত থাকে স্বৰ্য্যরাও সোপান শ্রেণী অবতরণ করিয়া মঙ্গ অন্বেষণে নিষ্ক্রান্ত হইলেন । আমার তৃষ্ণ তখন প্রবল হইয়া উঠিয়াছে ; ক্ষুধাও যে ইয় নাই, তাহ বলিতেছি না। তবে অদূর ভবিষাতে মাল গুঞ্জার মহাশয়ের অষ্টি থসৎকারের একটি মোহন চিত্র কল্পনায় আঁকি ক্ষুধা তৃষ্ণ উভয়কেই সংযত করিলাম ।