পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । আমরা জানালার নিকটে দাড়াইয়া এই সকল দেখিতে লাগিলাম। এই ঘরে দুষ্ট তিনটি অতি বৃহৎ ঢাক রহিয়াছে। মন্দিরে আরতির সময়ে বাজান হয় । এই ঘর হইতে বাহির হইয়া প্রাচীর সংলগ্ন অপ্রশস্ত বারান দিয়া উত্তরের মঞ্চে উপস্থিত হইলাম। তথা হইতে যে দুখ দেখিলাম, তাহা কখনও ভুলিবার নহে। রামটেক পর্মত ঢালু হইয়া নীচে নমিয়া গিয়াছে। তাহার পরে একটি গভীর খাদ ! এই থীদের পবেই একটি অনুচ্চ পাহাড় । পাহাড়েব উপর সবুজবর্ণ গাছে ঢাকা কৃষকদের কুটা ব, ও নিকটেই হরিদ্বর্ণ শষ্যক্ষেত্র। এই পাহাড়েব পরেই সুবিস্তীর্ণ উপত্যকাভূমি উত্তরে ও পশ্চিমে বহুদূর প্রসারিত হইয়া অস্পষ্ট গিরিশ্ৰেণীর চরণমূলে গিয়া মিলিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে গিরিমাল অপেক্ষাকৃত নিকটে স্থাপি ত । তথা হইতে লক্ষাধিক টীকা ব্যয়ে জল আনিয়া পূৰ্ব-বিভাগ চাষের মুবিধার জন্ত এই উপত্যকাকে উৰ্ব্বর করিতেছেন । সেই জলরাশি রামটেক পৰ্ব্বতের নিয়ে অনতিদূরে এক বিশাল হ্রদের স্তায় দেখাইতেছিল । এই প্রাচীরের নিকটে দাড়াইয়া সম্মুখে মন্দিরগুলি দেখা যায়. পশ্চিমে কয়েক পদ অগ্রসর হইয়। অার একটি দরজা পার হইলেই মন্দির প্রাঙ্গণ । ,हेशज नाम cथाकूण मब्रछ । ইঙ্গার গঠনপ্রণালী দেথিয়া পণ্ডিতজি বীণলেন যে ইহা ভৈরবীচক্র। তখন তিনি জর করিয়া এই শ্লোকটি আবৃত্তি করিলেন – "প্রবৃত্তে ভৈরবীচক্ৰে সৰ্ব্বে বর্ণা; দ্বিজোত্তমাঃ । শিল্পত্তে ভৈরবীচক্ৰে সৰ্ব্বে বর্ণাঃ পৃথক পৃথক ॥” রামটেক । ఫిస్సీరి অর্থাৎ ভৈরবীচক্রে প্রবেশ করিলে বর্ণভেদ লুপ্ত হয় ও সকল বর্ণ দ্বিজৰূপে গণ্য হয়। ভৈরবী চক্রের বাহিরে আসিলে তাহার বিভিন্ন বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে । শুনিয়া আমার মনে হইল যে শুধু মানৰ নিৰ্ম্মিত এই মন্দির কেন, সমস্ত বিশ্ব জগৎকে ই বিধাতা এক বিশাল ভৈরবীচক্ররূপে স্থষ্টি করিয়াছেন। এই তৃতীয় প্রাঙ্গণে মন্দিরের কার্ষ্যে নিযুক্ত দাস দাসীদের বাসভবন রহিয়াছে। শুনিলাম দেড়শতের অধিক দ্রাস দাসী আছে । 일 বেলা অনেক হইয়াছিল। ক্ষুধা তৃষ্ণায় সকলেই কাতর হইয় পড়িয়ছিলাম। মন্দিরে প্রবেশ করিবার সংকল্প ত্যাগ করিয়া তখন প্রত্যাবৰ্ত্তন করা গেল । বহিদ্বার পার হইয়৷ মন্দিরের ঠিক বাহিরে আসিয়াছি, এমন সময়ে দার্শনিক চিত্তরঞ্জন তাহার গাত্রবস্ত্রের খোজ করিলেন। বলা বাহুল্য দলের কেহই তাহার কোন সন্ধান বলিতে পারিলেন না । সাব্যস্ত হইল যে মন্দিরের নিকটে সেই গোল ঘরে প্রকৃতিশোভায় নিমগ্ন হুইয়া বন্ধু যখন উচ্চ পাহাড়েব দার্শনিকতা আলোচনা করিতেছিলেন, তখন তাহার অজ্ঞাতসারে বস্ত্রখানি তাহার স্কন্ধ পরিত্যাগ করিয়াছে। পণ্ডিতজি, পামুবাবু ও চিত্তরঞ্জন আবার অন্বেষণে ফিরিয়া গেলেন ; আমরা তিনজনে মসজিদের ছায়ায় মস্তক রক্ষা করিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলাম। আমাদের সম্মুখেই একখানি মিঠাইয়ের দোকান ছিল ৷ একথানি মাঝারি রকমের খোলার ঘর, কিন্তু তাহাতে অধিবাসী অনেক । দোকানী, তাহার স্ত্রী,. তাহদের সস্তান ; একটি মহিষী, তাহার সন্তান ও