৩৫শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা। "কেরে পাষাণ সৰু সৰু এখন নয়। আর একটু পর। আমি আপনিই ছেড়ে দেব, এখন আমার খানিকটে বুকে নিতে দে।" “ম, আমি ; আমি বিশু । আমায় একবার দেথতে দেন। যদি এখনে। বাচাতে পরা যায়”— জtহ্লবী চোখ মেলিয়। চাহিলেন । দ্বগুণ আৰ্ত্তকণ্ঠে বলিলেন *কে এসেছ বাণী ? বিশ্বেশ্নর ? আমার সতীকে কি পায়ে স্থান fদতে এসেছ ? আমার সতীর কি আজ ম ণাপন্ন বুড়োর সঙ্গে তার কি আমি বিয়ে দিই নি ? সতী কি আমাৰ লিষ খেয়ে মবেনি ? আমি কি স্বপন দেখছিলাম ! বিয়ে ? এসে; বলি, এসে ।" বিশ্বেশ্বর অতি কষ্টে জহুরীকে এক পাশ্বে ’েলয়া দিয়া দেখিল সতী উবুড় হইয়; শুইয়। দুষ্ট হাতের মধ্যে মুখ থান গুক্তিযু পড়িয়া 双仁5日 ઝાં সঙ্গ স৷ বিশ্বেশ্বরের সাহস হইল না । যেন সে কি মই চিন্তায় আচ্ছন্ন, কি যোগে নিমগ্ন, সে ধোগ ভঙ্গ করিতে গেলে অপরাধীকে তথনি যেন ভস্মীভূত হইতে হুইবে । বিশ্বেশ্ববের সঙ্কোচ দেখিয়া, সাবিত্ৰী ধীরে ধীবে উঠিয়৷ আসিল, দুষ্ট তাতে সতীকে পাশ্ব পরিবর্তি ত ব বাষ্টয়া রুদ্ধকণ্ঠে বাঈল "দেখুন, দেখবার কিছু অাব নেষ্ট ! দিদি মনেকক্ষণ চলে গেছে । " তথাপি বিশ্বেশ্বরের মনে হইতেfছল হয়ত এখনো সতী বাঁচয়া আছে। শীতল নাসাংগ্ধে, পুনঃ পুনঃ অমুণী স্পর্শ করিয়া দেখিল, কণমাবেষ্টি ত নিমালিত চক্ষু টানিয়া টানিয়া পেল, মুখে মধ্যে অঙ্গুলি দিয়া জিহবার উইপি অহুভব করিতে চেষ্টা করিল। কিছু ল। fಘಣ್ಣ Fil ! তাঙ্গাকে করিতে অন্নপূর্ণার মন্দির। ని లిసె “সব ঠাণ্ডা ! কিছু নেই—“ “ৰিখেখর ! কেন, বাবা মিথ্যে চেষ্টা করছ ! আমার সতী’ ঢলঢলি কর্বার মেয়ে নয়। সে যতদিন কষ্ট সয়ে বেঁচেছিল, কারুকে একবারও জানতে দেয়নি। আজ আর a সইতে পেরে চলে গেল, তাও তাকে একবার থাকৃতে বলবারও কাউকে সময় দিলে না । এখন আমায় থানিকটা ছেড়ে দাও ! মা আমার জলে জলে এখন বেশ ঠাণ্ডা হয়েছে, সতীর আমার ঠাণ্ড শরীর, ঠাণ্ড বুকটা আমি এখন খানিকক্ষণ বুকে কবে নিয়ে থাকি,— দাও । সতী আমাব এমন নিশ্চিন্দি হয়েত’ একদিন ও একদণ্ড ও ঘুমুতে পায়নি ! সুস্থ, শরীবে সুস্থ মনে সতী আমাব ঘুমুচ্ছে, আমি পানিক ভাই চেয়ে চেয়ে দেথি ।" ক্রমে লোকে ঘর পুরিয়া গেল। "একি সৰ্ব্বনাশ ! "কেন এমন হ’ল ?” “কিসে ম’ল ?” “কি পেয়ে ?” বিষ কোথায় পেলে ?” “কি দুঃখে বিষ খেলে ?” “কেউ কিছু বলেছিল ?” ইত্যাদি শব্দে বাট মুখরিত হইতে লাগিল । লোকের কোলাহলে ও উৎসাহসুচক আন্দোলনে জ্যেঠম পৰ্য্যস্ত থামিয়া গেলেন । অমুসন্ধিৎসু পরোপকাব মাতববরগণ নানারূপ ঘোট করিতে লাগিলেন । সন্ধান করিয়া সতীর মাথার শিয়রের নিকট হইতে একটা মালিশের, ঔষধের শিশি, একটা অহিফেন গন্ধযুক্ত পাতা ও এক টুকরা কাগজ বাহির করিলেন । কাগজে লেখা—“আমি স্ব-ইচ্ছায় আত্মহতা। করিলাম। আমার মাতা লাত প্রভৃতি আত্মীয় স্বজনেরা ইহার বিন্দু বিসর্গও জানেন না। ইতি সতী” : g বাহির হইতে মহাজনের লোক আর্মিয়
