পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৭ বর্ষ, একাদশ সংখ্য। । , বিশ্বের সহিত অত্যন্ত পৃথক করিয়া দেখে ; – যখন সে বলে যtহাতে, আমারই বিশ্যে দীক্ষা তাহাতে "আমারই বিশেষ মঙ্গল যখন সে বলে আমার এই সমস্ত বিশেষ শিক্ষাদীক্ষার মধ্যে বাহিরের আর কাহারও প্রবেশ করিয়া ফল নাই এবং কাহাকে ও প্রবেশ করিতে দিবই না ; তবে বাহিরের লোকের কি গতি হুইবে” এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে যথন মানুষ উত্তব দেয় পুরাকাল ধরিয়া সেই বাহিরের লোকের যে বিশেষ শিক্ষাদীক্ষা চলিয়া আসিতেছে তাহতেই অচল ভাবে আবদ্ধ থাকিলেই তাহার পক্ষে শ্রেয় ; অর্থাৎ যে সময়ে মানুষের মনের এই রূপ বিশ্বাল যে, বিষ্ঠায় মামুসের সর্বত্র অধিকার, বাণিজ্যে মানুষের সর্বত্র অধিকার, কেবলমাত্র ধৰ্ম্মেই মামুষ এমনি চিরস্থনরূপে .বিভক্ত যে সেখানে পরম্পরের মধ্যে যাতায়াতের কোনো পথ নাই ; সেখানে মানুষেব ভক্তির আশ্রয় পৃথক্ ; মানুষের মুক্তির পথ পৃথক, পুঞ্জার মন্ত্র পৃথক ; আর সৰ্ব্ব এই স্বভাবের আকর্ষণেই হউক আর প্রবলের শাসনের দ্বারাই হউকৃ মামুষের এক হইয়া মিলিবার আশ মাছে, উপায় আছে ; এমন কি, নানাজাতির নিদারুণ নরহত্যার ব্যাপারে ও গেীংবের ম' ত সম্মিলিলু হষ্টতে পারে, কেবলমাত্র ধৰ্ম্মের ক্ষেত্রেই মানুষ দেশবিদেশ স্বজাতি hজাতি ভুলিয়া আপন পুজাসনের পর্থে পৰম্পরকে আহবান করিতে পরিবে না। স্বত: মূৰ্ত্তিপূজা সেইরূপ কালেরই পূজা ধর্ণন মাছধ বিশ্বেং পরমদেবতাকে একটি লোক ধর্মের নবযুগ । ჯ ახyვ: কোনো বিশেষরূপে একটি কোনো বিশেষ স্থানে আবদ্ধ করিয়া তাহাকেই বিশেষ মহাপুণ্য ফলের আকর বলিয়া ,নির্দেশ করিয়াছে অথচ সেই মহাপুণ্যের দ্বারকে সমস্ত মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে নাই, সেখানে, বিশেষ সমাজে জন্মগ্রহণ ছাড়, প্রবেশের অন্ত কোনো উপায় রাখা হয় নাই ; মূৰ্ত্তিপূজা সেই সময়েরই যখন পাচসাত ক্রোশ দূরের লোক বিদেশী, পরদেশের লোক ম্লেচ্ছ, পরসমাজের লোক ,অশুচি, এবং নিজের দলের লোক ছাড়; আর সকলেই অনধিকারী—এক কথায় যখন ধৰ্ম্ম আপন ঈশ্বরকে সস্কুচিত করিয়া সমস্ত মানুষকে স্কুচিত করিয়াছে এবং জগতে যাহা সকলের চেয়ে বিশ্বজনীন তাহাকে সকলের চেয়ে গ্রাম্য করিয়া ফেলিয়াছে। সংস্কার যতই সঙ্কীর্ণ হয় তtছ। মানুষকে ততই আঁট করিয়া ধরে, তাহাকে ত্যাগ করিয়া বাহির হওয়া ততই অভ্যন্ত কঠিন হয় ;—যাহার অলঙ্কারকে নিরতিশয় পিনদ্ধ করিয়া পরে তাছাদের সেই অলঙ্কার ইহজন্মে তাহার। আর বর্জন করিতে পারে না, সে তাহাদের দেহচৰ্ম্মের মধ্যে একেবারে কাটিয়া বসিয়া যায় । সেইরূপ ধৰ্ম্মের ংস্কারকে সঙ্কীর্ণ করিলে তাহা চিরশৃঙ্খলের মত মানুষকে চাপিয়া ধরে,- মামুষের সমস্ত আয়তন যথন বাড়িতেছে তখন সেই ধৰ্ম্ম আর বাড়ে না, রক্তচলাচলকে বন্ধ করিয়া অঙ্গকে সে কৃশ করিয়াই রাখিয়া দেয়, মৃত্যু পর্যন্ত তাহার হাত হইতে নিস্তার পাওয়াই কঠিন হয়। সেই অতি কঠিন সঙ্কীর্ণ ধৰ্ম্মের প্রাচীন বন্ধনকে রামমোহন রায় যে কোনোমতেই আপনার আশ্রয় বুণির