পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So & মহাশয় তাহদেরই পাশে রেল অভিমুখী দাড়াইয়া মালা জপিতেছিলেন, এমন সময় কন্সার আবির্ভাবে এবং তাহার মুখেব এই কঠোর সত্য কথায় নৈরাপ্ত,বেদনায় তীব্র সচঞ্চল হইয়া দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে, কহিলেন,-“সে কি হয় মা—সে যে নির্দোষ।” পাশা খেলার একজন দশক নিধিরাম চক্রবস্তী হাতের হু কাটি বৈঠকে রাখতে রাথিতে હ ೯೪ শুনিলেন, শুনিয়া খেল দেখার লোভ সম্বরণ কবিয়া অপেক্ষাকৃত উচুচনিনালাভের আশান.অবিলন্থে নিকটে আসিয়া উত্তরস্বরূপ কহিলেন--"ভট্টচার্য মহাশয় অনেক সময় নিদ্বাৰ লোককেও ত দোষী হতে দেপ মায়” । ੋਧ মহাশয় যুবাকালে দ্যায়শাস্ত্র কিছু অধ্যয়ন করিয়াছিলেন বটে কিন্তু সেসব এখন প্রায় কিছুই মনে ছিল না—তথাপি নিধিরামের যুক্তিটা তাঙ্গর মনে ভ্রান্ত বণিয়া প্রতিপন্ন হইল, যে নির্দোষ সে আবার দোষী হুইবে কিরূপে ? তিনি মাথ৷ नाज़्छि: কহিলেন—“হতেই পারে না,—সে যে বড়,ভালমাকুয।” “জানেন ভটচtয মহাশয় – ভালমানুষ বলেই আরও ভয়! ভালমানুষ লোকই আজকাল দেশ দেশ করে পাগল, ভালমানুষ লোকেই দুষ্ট্র রা যা বোঝাচ্ছে তাই বুঝছে। দেশের নামে—খুন ডাকাতি”— শেষ পর্য্যন্ত শুনিতে ভটচযি মহাশয়েব ধৈর্য্য রছিল না। তিনি অবিশ্বাসস্থচক মাথ৷ নাড়িয়া কহিলেন-ছোটবেলা থেকে জানি যে তাকে,—সে তা নয়।” “কিন্তু আরও একটা কথা ত ভাবতে टुडे झाँ ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮ হবে। দোষী হোক নির্দোষ হোক হাজতে ত রয়েছে—সকল জাতের ছোয়া নাড়া ত খাচ্ছে, জাত ইজ্জত ত আর রইল না—দাগীত বটে !” ভটচার্য মহাশয়ের চক্ষু জলপূর্ণ হইয়। উঠিল—দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়িয়া বলিলেন—“তবে তোমরা যা ভাল বোঝ তাই করে । কিন্তু~~ কিন্তু সৎপত্রিই বা কই ?” তাহার কন্ত। কচিলেন “সে আমরা ঠিক কংেছি, শ্ৰীমন্থ বিয়ে কবতে রাজি ।” ভটচাম মহাশয় আকুল মঞ্জু বাঁধা বাক্যে প্রকাশ কবিম! কহিলেন –“ শ্ৰীমন্ত ! তার নাfত না তলী—সে যে আমার নগেনের চেয়ে ও বড়। হা ভগবান--নগেনকে তুমি ডেকে নিলে—আর এই দু পোযু সস্তানটিকে আমার কাছে রাপলে কি আমার হাত দিয়ে তাকে বলিদান নেবে বলে ! মা ও কথা বলোনা ম',—আমি তা পারব না।” “কি করবে বাবা—সবই বরাত ! আমাকে ত ছেলেমানুষ বরের হাতেই দিয়েছিলে । আমার কপাল পুড়লে কেন বলে ! যদি অদৃষ্ট থাকে এতেই সে মুখী হবে। আর দোজব’রে বর আদরষত্ব খুব করবে—পয়সা কড়ির ও দুঃখ নেই ।” ছেলে, লেী নিধিবাম চক্রবন্তী তাহার মতে সায় प्रिा গেলেন,—“ত{ বই কি সবষ্ট ত কপাল্লের কথা * আর এখন পাঁচট.দেখা শোনারই বা সময় কোথা— মেয়েকে ত আজই পত্রিস্থ করতে হবে, নইপে জাতবক্ষ হয় কই ?” বৃদ্ধের চোখ গভীর অনিচ্ছাময় আতঙ্ক ঘূর্ণিপ্রবাহে আরোড়িত হইয়া উঠিল—কিন্তু তিনি বুঝিলেন,