পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y® 행 ভারতী । গেল। আজ আবার অনেক দিন পরে তাহার শুষ্কনেত্ৰে জল পড়িল । শিবানী যখন দারুণ উৎকণ্ঠ ও নিরাশ বহিয়া লইয়া গাড়োঁয়ানের নির্দিষ্ট বাড়িথানার মধ্যে প্রবেশ করিল, তখন চারিদিকের গাছপালার উপর দিয়া সন্ধ্যার ঘনীন্ধকার গেই श्रृंज পল্লীখানিকে নিবিড় ভাবে বেষ্টন করিয়া ধরিয়াছিল। অল্প অল্প কোয়ালা ও . মেঘে আকাশে তারকচন্দ্রকে, আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছে, মধ্যে মধ্যে চলন্ত তরল মেঘের আবরণের মধ্য দিয়া বিকারের রোগীর নিম্প্রভ ঘোলা চক্ষের স্থায় মান চন্দ্র প্রকাশিত হইয়! আবার মেঘাস্তরে শ্রাচ্ছাদনে লুকাইয়৷ পড়িতেছে। ঝোপঝাপ গাছপালার মধ্যে পুঞ্জ পুঞ্জ অন্ধকার আশ্রয় গ্রহ করিয়াছে। ঝিকিমিকি জোনাকির পৃষ্ঠ শত শত স্তিমিত আলোকগুলি জালাইয়াওঁ সেই দুৰ্ভেদ্য অন্ধকারকে পরীভূত করিতে না পারিয়া বৃক্ষে বৃক্ষে কেক, চুত উল্লাখণ্ডের মতন ছুটয় বেড়াইতেছিল। প্রবেশ দ্বারের ঠিক সম্মুখেই একটা ঘরেব সম্মুখের বারানায় একটা লণ্ঠন জলিতেছে, , এবং কে এক ব্যক্তি সেই আলোর সামনে, খসিয়া একখান ক্ষুদ্র নোটবুকে পেনসিল দিয়া নিবিষ্ট মনে কি লিখিতে ছিল। তাছার নত মুখের উপরে লঘাটের উপর হইতে অগ্নিবেশিত দীর্ঘ কুঞ্চিত কেশের ছায়া আসিয়া পড়িয়াছিল বলিয়া "শিবানী তাহার মুখ দেপিতে পাইতেছিল না। তথাপি হেমেন্দ্র বলিয়াই সে তাছাকে অনুমান করিয়া বইল এবং সেই বিশ্বাসেই অগ্রসর হইয়া গিয়া ভয় বিহ্বল . ব্যাকুল কণ্ঠে ডাকিল “ঠাকুরপো!” সে ব্যক্তি চমকিয়া মুখ তুলিল, আলোকের বৈশাখ, ১৩১৮ উজ্জল রশ্মি পরিষ্কাররূপে তাহার মুখের উপরে পতিত হইয়াছিল, শিবানী দেখিল সেব্যক্তি হেমেন্দ্র নয়, – কে ? একবার মাত্র সেই সম্মুখস্থ মুখখানার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়াই শিবানীর আপাদমস্তক বায়ুস্রোত জড়িত কাশকুনুমের মত কম্পিত হইয়া উঠিল। সে তাহার বিস্ফারিত বিন্মিত দৃষ্টি সেথানে সংবদ্ধ রাখিতেও পারিতেছিল না ; আবার ফিরাইয়া লইবার শক্তিও তাছাকে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছিল। কোন মিছা ঐন্দ্রজালিকের এ গৃহ ! যেখানে অসম্ভব অনায়াস সম্ভব হুইয়t উঠে ? দেখানে স্বপ্ন প্রত্যক্ষ শবীরে দেথা দিয়া রুদ্ধ আশা স্রোতে সবেগে আঘাত করে একি মায়ার রাজ্যে সে আজ সহসা আসিয়া পড়িল । একমুহূৰ্বমাত্র সে ব্যক্তি, জড়ের মতনই নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিল। কিন্তু তার পর এও কি ইন্দ্রজাল! হঠাৎ সে পেনসিল ও খাতাখান জামার পকেটের মধ্যে ফেলিয়৷ শিবানীরষ্ট নিকটে এত নিকটে আসিয়া দাড়াইল যে, তাঙ্গার তপ্ত নিশ্বাস শিবানীয় গণ্ডস্পর্শ করতে লাগিল। শিলানীর বক্ষের দ্রুত কম্পনও বুঝি তাছার কণে অনুভূত হইয়া উঠিল । একমুহূৰ্ত্ত কেহ কোন কথাই বলিল না দুজনেই নিপদ হইয়া পরম্পরের পানে চাহিয়া রছিল। বিরাট পুরুষের সমাধি মূর্তির ন্যায় সমস্ত চরাচর তখন ধানমগ্নবং স্তন্ধ ইয়া রহিয়াছে! কেবল ঝিল্লির সমতান সেই ষোগলগ্ন বিশ্বের অন্তরকেন্দ্রের মধ্যে প্রণয়ের গষ্টীর ধুলির সহিত মিশিয়া যেন এক হইয়া গিয়াছিল। কেবলমাত্র শাস্ত শুদ্ধ, কুরাসাময় শীতের রাত্রি নিঃশব্দে মদির দ্বারের প্রহরীর মত প্রহর