পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা। অtসিয়া নাড়ি, দেখিলেণ, মুখ প্রফুল্ল হইয়া ‘আপিল, রজনীনাথ গভীর নিশ্বাস ফেলিলেন । শাস্তি তাহাদের ভাব বুঝিয়া ক্লাস্তিহীন নেত্রে সম্মুখে উপবিষ্ট হেমেন্দ্রের উৎসুক মুখের দিক চাহিয়া দেখিয়া মৃত্ন করুণার হাসি হাসিল, ছেমও ঈষং লজ্জিত হইয়া মানভাবে হাসিয়া মুখ নীচু করিয়া ফেলিল। তবে তাহার পাপ প্রায়শ্চিত্তবিহীন নয় ! 彰 একটু বেলা হইলে শিবানী একখানা কাগজ হেমের হাতে দিয়া বলিল "বাবা আসবার সময় এই কাগজধানী তোমায় দিতে দিয়েছিলেন। কদিন আর দিতে পারিনি, ঠাকুরপে এই নাও।” 象 “কি এখান !” বলিয়া হেম সেখান খুলিয়া একবার মাত্র দৃষ্টিপাত করিয়াই তা মাটিতে ফেলিয়া দিয়া আরক্ত মুখে বলিয়া উঠিল; “ও সব অমূল্যর, আমি নিজে • উপার্জন করব ! আমার সে তৃষ্ণাই . যখন আর নেই তখন আর কেন • •বৌদিদি ।” রজনীনাথ স্তামাকাস্তের দানপত্রধান ভূমি इड्रेष्ठ ईफ़ाइइ गहेब बन्न मन**? করিলেন, হেমেন্দ্র ও শান্তি র্তাহার ? স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির অৰ্দ্ধাংশের অধিকারী, এই কথাই তাহাতে লেখা ছিল। রজনীনাথের সাহায্য না পাইয়া জেলা কোটের উকীলের দ্বারা বৃদ্ধ একটু কৌশলের হিত এই দানপত্ৰখানি প্রস্তুত কাইয়াছিলেন। তিনি তার দম্পৰি মৰ্দ্ধ পৌত্রকে এবং অৰ্দ্ধাংশ বিধবা পুত্রবধু শিবানীকে দান কৰিলেন, બરે મrાં બરે উইল *লেখাপড়' कब्र इव ७वः निदानो७ मृत्र नप्त्र डाशत्रे সমুদয় সম্পত্তি তাহার দেবর ও বের পত্নীকে পোষ্যপুত্র। 決> দান পত্রে লিথিয়া দিয়াছিল । রজনী নাৰ দানপত্র পড়িয়া একটু হাসিয়া শিবানীর দিকে ফিরিলেন “বিষয় ত তোমার নয় ম', ভূমি দান করচে কেমন করে ? তোমার শ্বশুরের সম্পত্তি তোমার স্বামীই দান কৰ্কার প্রকৃত অধিকারী।” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়া নিকটস্থ ক্ষুদ্র টেবিলের উপরকার শিশিপত্র গুছাইতে অত্যন্ত ব্যস্ত মিঃ রায়ের দিকে ফিরিয়া তাহার স্বভাবসিদ্ধ গাম্ভীৰ্য্যপূর্ণ সংযত কণ্ঠে ডাকিলেন “বিনোদ!” নীরদ ফিরিয়া দাড়াইল। রজনীনাথ উঠিয় দাড়াইয়া কহিলেন,"তোমার বাবাকে •ষ্টেসন থেকে নিখে আসতে চলুম। তোমার স্ত্রীকে এ অসিদ্ধ দানপত্র ফিরিয়ে দিও—” ● সহসা সেই ঘরের মধ্যে বজ্রপাত হইরেও এর চেয়ে কেহ স্তম্ভিত হইতুন ! •হেমেন্স উঠিয়া গিয়া নিঃশব্দে নীরদকুমারের পদতলে লুটাইয়া পড়িয়া লজ্জাপীড়িত রুদ্ধকণ্ঠেলিল দাদা !” • বিনোদ তাহাকে ধরিয়া তুলিল, সম্বুেহে আলিঙ্গন করিয়া প্রশান্ত স্বরে কহিল “ও সব কথায় আমাদের কাজ কি হেম ?” বাবা আসচেন এসে আমরা একসঙ্গে দু ভায়ে তার পায়ে পড়ে ক্ষমা চাই, আমরা দুজনেই যে তার কাছে অপরাধী।” শান্তির রক্তহীন. মুখ, মুহূৰ্ত্তে আনন্দের উজ্জল দীপ্তিতে জ্যোতিৰ্ম্ময় হইরা উঠিল। দিদি বলিয়। সে শিবানীর সাগ্রহ বাহুর মধ্যে পরিতৃপ্তচিত্ত শান্ত শিশুটির.মত নিজেকে অর্পণ করিয়া দ্বিগ্ধ হাঁস্তের সহিত মুখের উপর ঈষৎ ঘোমটা টানিয়া দিল । অল্পক্ষণ পরেই দ্বারের নিকট হুইতে গুমাকান্ত ডাকি৷ বুলিলেন “কই আমার মা, আমাকুমা কই গে।” শ্ৰীমন্ত্ররূপ দেবী। 彎 সমাপ্ত ।