পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৯ বর্ষ, নবম সংখ্যা । " ং দুই একদিন ইতস্তত করিয়া সতীকে কি “দেখ সতি, বসে থাকূলে ত’ pল না—একটু কাজকর্মের চেষ্টায় বেদ । মধ্যে মধ্যে আযাব এই দশটা টুকি আমার কাছে আছে, এই ক’ট নিয়ে আর যে রকম করে চালাচ্চ সেই রকমে সংসাৰ চালাও, আমি শীগগিরই সব ভাব নেব।--তোমার কোন ভয় নেই । মধ্যে বিশেষ দরকার পড়ে ত চাদপুরের বাবুদের বাড়ব ঠিকানায় আমায় পত্র বা লোক পাঠি ৪, আমি আসব, বুঝেছ ? এখন চললাম—বসে থাকলে ত চলবে না ।" যদি এর সঙ্গী বুঝিয়া নীরবে কেবল টাকা কয়টি সাবিত্রী করুণ স্বত্বে বলিল" আর তোমায় এ ভাল আছেন, এর পরে যে ও ” "পাগল আর কি ! বসে থাকলে কি মাকে বলিসলে, কি টান বাদেন কাটেন, আমি যাই তার পবে বলিস । দাদা, ম{ দেখে চলে। দ্যাথ এখন সন্ধ্যার পরে জাঙ্গ দী সাবিত্রীকে নিকটে ডাকিয় তাঙ্গার অপ্ত জটাযুক্ত রুক্ষ ধূলিময় :- ব’াশ লষ্টয়া একটু পবিষ্কাৰ করিয়া বিবি চেষ্টা করিলেন ; সবিত্রীর চক্ষু হইতে কয়েক ফোটা ভল গড়াইয়া আসিল, মাব অজ্ঞ'তে তাঙ্গ। মুছিয়া ফেলিয়। বলিল, “আজ কি ম\, এর পরে একদিন দি ও " জাহ্নবীর ধণ স্ত দুট ও যেন ভাঙ্গিয়া আসিতেছিল, তথাপি বলিলেন “বড় পড়েচে, এর প:ব শার ছাড়ান যাবে না ।”

  • "ত্রর কার্য্য সমাপণাস্তে রান্নাঘরে তাল

" iাণীর ছন্থের বাট স্তে সতী কক্ষে অন্নপূর্ণার মন্দির । Ե Զ Ց প্রবেশ করিল। দুগ্ধ টুকু শিকায় রাখিয়া দাড়াইতেই মাত বলিলেন “রান্না ঘরে তালা দিয়ে এলি ? হরি খাবে না ? তোরা খাবি না ?” “হরি থেয়েছে—রান্না ঘরের আর কাজ “তুই খাবি না ? হরি-হরি কোথায় ?” সতী নতমুখে বলিল চাকরীর চেষ্টায় চাদপুরে গিয়েছে।” “কষ্ট আমায় ত বলে গেল নf !” “তুমি কঁদিবে বলে বলেনি। বল্পে দুচার দিনের মধ্যে আসলে, চাকরি না করলে ত চলবে না। খরচের জন্তে দশটা টাকা ও দিয়ে গিয়েছে ।” জাহ্নবী ক্ষণেক নীরবে রছিলেন, পরে একটু নিশ্বাস ফেলিয়৷ মৃদ্ধস্বরে বলিলেন, “কদব কেন – সে যাতে সুখী থাকে থাকুক।” সাবিত্রীর চুলের জট ছাড়াইতে ক্ষণেক চেষ্টা করিয়া ক্লাস্ত স্বরে বলিলেন “সতি—সালির মাথাটা পরিষ্কার করে দে ত মী, পাংলাম না ।" সতী সাবিত্রীর মাথা লইয়া বসিল, সাবিত্ৰী আপত্তি করিল, সতী তাঙ্গকে একটু তিরস্কার করিয়া দ্রুত ইস্তে মস্তক পরিস্কার করিয়া দিল । জাতুবী শয্যায় গুইয়ু পরিলেন । সাবিত্রী র্তাহার বক্ষের নিকটে মস্তক রাথিয়া দক্ষিণ হস্তটি তাঙ্কার গাত্ৰে দিয়া শয়ন করিল। সঙ্গী বলিল “ম একটু জল থাও ।" “না মা, আমায় বিবক্ত করন, একটু ঘুম আসছে।” সতী বুঝিত মাতার এই নিম্পদ নিৰ্ব্বাক চিন্তা ঠিক ঘুমের মতই তন্ময়ত। পূর্ণ। মাতা আমি আমার