পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৯৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৭ বর্ষ, নবম সংখ্যা । সপ্তানে দাড় করাইয়া পরীক্ষক গাঢ় নীলবর্ণের তরল পদার্থ পরিপূর্ণ একটি অভিনব রুদ্র কাচপাত্ৰেৰ ভিতর দিয়া অৰ্দ্ধমিনিট কাল একটু নাতি-উজ্জল আলোকের দিকে দৃষ্টি স্থাপন করেন, ইহার ফলে তাঙ্কার দর্শনেন্দ্রিয়ে অবগু কিছু পরিবর্তন ঘটে। ঠিক সেই সময়, অর্থাৎ অঙ্গ মিনিটকাল পরেই রোগীর সম্মুখে দাড়াইয়। ঐৰূপ আর একটি অভিনব ক্ষুদ্র কাচ পাত্রের ভিতর দিয়া পরীক্ষক রোগীর দিকে দৃষ্টি নিবেশ করেন। শেষোক্ত কাচ পত্রট ও নীলবর্ণের তরলপদার্থ পরিপূর্ণ, তবে পুৰ্ব্বাপেক্ষ রুট। কিছু ফিকে, কয়েক সেকেও পরেই তিনি রোগীর দেহনিঃস্থত আভা দেখিতে পান । নাহার এই অtভ দেখিতে অভ্যস্ত র্তাহারা বলেন যে এই অtভ বা ছায়। নীলtভ, এষ্ট আভা সৰ্ব্বদা সমস্ত মানবদেহ আবুত কবিয়া থাকে এবং ইহার বিস্তৃতি মানবের দৈহিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। মৃত্যুর পর এই আভা অন্তহিন্তু হয়, আর দেখা যায় না । ডাক্তার কিলনার বলেন যে, পুরুষরমণী নিৰ্ব্বিশেখে সকলের দেহের সমস্ত অঙ্গ- - જે ૦ છે 5ग्नन-मू-क्लां१ि७ ।। بی প্রত্যঙ্গাদি কি জাগরিতাবস্থায় কি নিদ্রিতাবস্থায় সকল সময়ই এই আভার দ্বারা আবৃত থাকে। এই অভিা কল্পনাপ্রস্থত নহে, বাস্তবিকই ইহার অস্তিত্ব আছে, কারণ সময়ে সময়ে এরূপ তীক্ষ্ণদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি জন্ম পরিগ্রহ করেন যাহার সহজ চক্ষুতেই এই দেহের আভা দেখিতে পান । ডাক্তার কিলনার আরও দেখাইয়াছেন যে দেহের আভা বেগ নির্ণয়েও যথেষ্ট সহায়তা করে। এই আভা স্বাস্থ্যের, উপর নির্ভর করে। মুস্থাবস্থায় আভার যেরূপ বিস্তৃত দেখা যায়, দেহ রোগাক্রান্ত হইলে অtভা সেরূপ বিস্তৃত থাকে না । দেহের কোন অঙ্গ রোগাক্রান্ত হইলে ঠিক সেই অঙ্গনিঃস্থত আভা অনেক সঙ্কুচিত হয়। মূৰ্চ্ছ। ( Ilysteria ) রোগগ্ৰস্ত ব্যক্তিদিগের দেহের আভার পরিবর্তন ঘটে। দেহের একাংশের আভা অপরাংশ হইতে বেশী বিস্তৃত দেখা যায়। ডাক্তার কিলনারের মত এইরূপ, চিকিৎসকের দেহের অtভ দেখিয়া রোগ নির্ণয়ে সমর্থ হইলে, চিকিৎসা শাস্ত্রে এক নূতন অধ্যায়ের স্বষ্টি হইবে । শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র সিংহ । উল্কাপিণ্ড । প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে নিৰ্ম্মল আকাশপটে একটি সুতীব্ৰ উজ্জল আলোকপে অঙ্কিত করির উল্কাপাত হইতেছে। আমাদের দেশে উদ্ধাপাত বিরল হইলেও শঠা দেশে এককালে এত উৰাবৃষ্টি হয় যে, আকাশ উল্কালোকে একেবারে আলোকিত হইয় পড়ে। ইহার কোথা হইতে আসে, উহাদের গঠনোপাদানই বা কি, এ প্রশ্ন লইয়। পণ্ডিতসমাজে অনেকদিন হইতে আলোচনা চলিয়া আসিঙেছে। ইহাদের