পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о ভারতে অলিকসন্দর সমর্থ হইব। তখন মিশ্রদেশ অধিকার আমাদের সহজসাধ্য হইবে। মিশ্রদেশ বিজয়ের পর গ্রীসের বা আমাদের দেশের ভাবনা আর ভাবিতে হইবে না। তখন পারস্যের সমস্ত নৌশক্তি এবং ইউফেটিস পর্য্যস্ত সমস্ত দেশ, আমাদের আজ্ঞানুসারে পরিচালিত হইবে। তখন আমরা স্বচ্ছন্দন্ত্রমে ব্যাবিলন অভিমুখে গমন করিতে পারিব, এবং আমাদের কীৰ্ত্তিও তখন অধিকতর বৰ্দ্ধিত হইবেন ।” অলিকসন্দর র্তাহার সহচরগণকে র্তাহার দ্যায় সকল প্রকার বিপদকে তুচ্ছঙ্গান করিতে শিক্ষিত করিয়াছিলেন—যে সকল যোদ্ধা ধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের ন্যায় আংশিক ভাবে উন্মত্ত হয়, সে সৈন্ত দ্বারা যে কোন দুঃসাহসিক কার্য্য সম্পূর্ণরূপে নিম্পন্ন করিতে পারা যায়। তাহার কার্য্যের গুরুত্বেরদিকে না দেখিয়া, প্রাণ প্রদান করিয়াও কার্য্যসিদ্ধির জন্য অগ্রসর হইয়া থাকে । অলিকসন্দর এইরূপ সৈন্য গঠন করিতে পারিয়া ছিলেন বলিয়াই তাহাদের সাহায্যে অদ্ভূত কাৰ্য্য সকল সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । অলিক সন্দরের প্রস্তাব আগ্রহের সহিত সৈনিকগণ কর্তৃক গৃহীত হইল। তাহারা তাইরি অভিমুখে গমন করিবার আজ্ঞালাভ ঔৎসুক্যের সহিত প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । of ভূমধ্যসাগরের পূর্বে এবং সিরিয়ার উপকূলে একটা দ্বীপে তাইরিনগর মিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সে সময় সমুদ্রেরতট হইতে ইহ প্রায় অৰ্দ্ধমাইল দূরে অবস্থিত ছিল। এ স্থানে সমুদ্রের গভীরতা স্থানে স্থানে ১৭১৮ফাঁট অপেক্ষ নুনি ছিলনা। পূৰ্ব্বে তাইরিনগর সমুদ্রের তটের উপর নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, একবার সমীপবৰ্ত্তী নরপতির