পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনস্বীর শক্তি ৰাধা পাইলে বৰ্দ্ধিত হয় । ১০১ সহিত যুদ্ধ আরম্ভ হওয়াতে, তাহার। প্রাচীন নগর পরিত্যাগ করিয়া সমুদ্র পরিবেষ্টত দ্বীপকে, উচ্চ প্রাচীরে সুদৃঢ় করিয়া নিবাস করিতে আরম্ভ করে। প্রাচীন নগরের সুবৃৎ অট্টালিকা, নগরপ্রাচীর, প্রভৃতি নষ্ট হইয়া স্তুপে পরিণত হয়। বাণিজ্যের জন্য এই নগর সেকালে অত্যস্ত সমৃদ্ধি সম্পন্ন হইয়াছিল । এবং এই জন্যই ইহার পোত-বলেও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিয়াছিল। ভূমধ্যসাগরের চতুর্দিকে এরূপ স্থান ছিল না, যে স্থানে ইহার গমন করিয়া পণ্যদ্রব্যের আদান প্রদান না করিয়াছিল । ইহারা যেরূপ শক্তিশালী ও সমৃদ্ধি সম্পন্ন ছিল সেইরূপ সাহসী ও স্বাধীনতাপ্রিয় ছিল । সাহসী হইলেও ইহারা নিজের বাণিজ্য অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য পরের সহিত বিপদে প্রবৃত্ত হইত না, সকলের সহিত সদ্ভাব রাখিতে চেষ্টা করিত। তাইরিবাসীরা যখন অলিকসন্দরকে তাহদের নগরে প্রবেশ করিতে সন্মতি প্রদান করিলেন না, তখন তিনি সমস্ত সৈন্যসহ তাইরির সম্মুখে সমুদ্রের তটে শিবির সংস্থাপন করিলেন। সমুদ্র অতিক্রমণ এবং দুরারোহ প্রাচীর ভেদ করিয়া তাইরি অধিকার বড় সামান্ত কথা নহে। শক্ৰ নৌবলে বলিয়ান সুতরাং অবরুদ্ধ হইলেও তাহারা আন্নাদির অভাবে অবসন্ন হইয়৷ পড়িবে না। অন্তলোক হইলে তাইরি বিজয় বাসন পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইতেন, কিন্তু অলিকসন্দরে তাহার বিপরীত প্রভিভাত হইল । বাধার গুরুত্ব অনুসারে তাহার উৎসাহ, অধ্যবশায় ক্লেশসহিষ্ণুতা ও বদ্ধিত হইল। তিনি অৰ্দ্ধমাইল বা ক্রোশের চতুর্থাংশ সমুদ্রে সেতু প্রস্তুত করিয়া তাইরি অধিকার করিতে মনস্থ করিলেন । •