পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0 & ভারতে আলিকসন্দর তুলিকসন্দারের ইচ্ছার সহিত সেতুবন্ধন কাৰ্য্য আরম্ভ হইল। প্রাচীন তাইরির ভগ্নস্তুপ হইতে সুবৃহৎ শীলাখণ্ড এবং অদূরবত্তী পৰ্ব্বত হইতে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বৃক্ষ সকল আনীত হইয়া সমুদ্রের উপর যোজক প্রস্তুত হইতে লাগিল। প্রথম প্রথম অনেকে আলিকসন্দরের এই কাৰ্য্যকে বাতুলতার বিজম্ভণ বলিয়া উপেক্ষা প্রদর্শন করে। কিন্তু যখন, তিনি কিয়দংশ সেতু নিৰ্ম্মাণকার্য্য সমাধা করেন, তখন তাইরিবাসীরা ঘোরতর পরাক্রমে জলে ও স্থলে উভয়পথে অলিকসন্দরের জনগণকে বাধ৷ প্রদান করিতে আরম্ভ করে। তাহার। প্রাচীরের উপর প্রস্তর নিক্ষেপক যন্ত্র সকল সংস্থাপন করিয়া, প্রচণ্ডবেগে প্রস্তর সকল সেতু কার্য্যে নিযুক্ত লোকেদের উপর নিক্ষেপ করিতে লাগিল। অলিকসন্দরও সুদীর্ঘ প্রস্তর নিক্ষেপক যন্ত্র প্রস্তুত করিয়া, তাহদের আক্রমণের প্রতিরোধ করিতে লাগিলেন। তাইরিবাসীর সময়ে সময়ে নৌকাযোগে আক্রমণ করিয়া শত্রুসৈন্য ব্যতিব্যাস্ত করিতে লাগিলেন। কখন তাহারা সুবৃহৎ নৌকায় কাষ্ঠ, তৃণ, শণ, প্রভৃতি দাহ পদার্থ তৈলসিক্ত করিয়া, অনুকূল বায়ুবেগে সেতুরকাছে লইয়। তাহাতে অগ্নিপ্রদান করিয়া অন্য নৌকাযোগে প্রত্যাগমন করে। অনুকুল বায়ুসংযোগে দাহমান নৌকা, সেতু সংলগ্ন হইয় প্রস্তর নিক্ষেপক যন্ত্র সকল ভগ্নীভূত করিয়া দেয়। এইরূপে তাহার। যতবাধা প্রদান করিতে লাগিল—অলিকসন্দন্দের উদ্যমও তত বৃদ্ধি পাইয় তাহাকে শক্রগণের অজেয় করিয়া তুলিল। অলিকসন্দর, বহু সংখ্যক স্বত্রপর নিযুক্ত করিয়া অগণিত যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বিপুল পরাক্রমের সহিত জলেস্থলে সকল প্রকারে শক্রগণকে আক্রমণ করিতে লাগিলেন।