পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o ভারতে অলিকসন্দর ক্ষমতা বিস্তার শক্তি, অতি অল্প লোকেরই মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়। নেপোলিয়ন প্রভৃতি পাশ্চাত্য বীরবৃন্দ, অলিকসন্দরের যুদ্ধ প্রণালী প্রভৃতি অনুশীলন করিয়া কৰ্ত্তব্য পথে অগ্রসর হইতেন, এরূপ লোকাত্তর পুরুষের জীবনী, বিশেষতঃ তাহার সহিত আমাদের ভারতবর্ষের কথার সহিত মিলিত অাছে বলিয়া অামাদের ও আলোচনার বিষয় হইয়াছে। স্বাধীন হিন্দু যে কারণে অলিকসন্দরের কার্য্যকলাপ আলোচনা করেন নাই, বর্তমানকালে আমাদের সেরূপ কোন কারণই বিদ্যমান নাই, সুতরাং সৰ্ব্বপ্রথম ও সৰ্ব্বপ্রধান ইয়ুরোপীয় বীরের ভারত আক্রমণ, এবং ভারতবাসীর কাছে তিনি কিরূপ অভ্যর্থনা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহা অামাদের অবশ্য জ্ঞাতব্য । সজেক্ষপে আমরা সে সময়ের গ্রীসের অবস্থা বর্ণনা করিয়া প্রস্তাবিত বিষয় বলিতে প্রবৃত্ত হইব । সমগ্র গ্রীসের ভূমির পরিমাণ, আমাদের সুবৃহৎ বাঙ্গলার সহিত তুলন। হইতে পারেন । ইহা আমাদের বর্তমান ময়মনসিংহজেলার তিন গুণ অপেক্ষ কিছু বড় হইতে পারে, কিন্তু এই ক্ষুদ্র গ্রীসের অতিক্ষুদ্রতম প্রদেশ শৌর্য্যে, বীৰ্য্যে, পরাক্রমে, পাণ্ডিত্যে, শিল্পনিপুণতায়, সকল বিষয়েই ইয়ুরোপ খণ্ডে উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছিল । যে গ্রীসের স্বভাব সংস্থান, প্রাচীন গ্ৰীসবাসীর চরিত্র গঠনের অকুকল হইয়াছিল—প্রাতঃকালের বায়ু যাহাদিগের নৌকা বহন করিয়া এসিয়ামাইনর অভিমুখে লইয়। যাইত, আবার স্বয়ংকালে তাহা আত্মীয়ের ন্যায় বহন করিয়া গৃহে পৌছাইয়া দিত সেই বায়ু তো এখনও রহিয়াছে, কৈ জল— পথে গ্রীসের সে প্রাধান্ত নাই কেন ? ভালদিনে গ্রীসের তট