পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>ー ভারতে অলিকসন্দর লাগিলেন ।—স্থানে স্থানে প্রাচীরের নিয়স্থ বালুকা খনন করিয়৷ প্রাচীর ভাঙ্গিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । বেতিস পরিচালিত গাজার সৈনিকগণও কোনরূপে উৎসাহহীন না হইয়া, ঘোরতররূপে প্রতিক্ষণ শত্রু সৈন্যের উপর মুসলধারে প্রস্তরাদি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। বালুক খনন করায় স্থানে স্থানে প্রাচীর ভাঙ্গিয়া পড়িয়া গেল, মাসিদনের সেই স্থান দিয়৷ নগর আক্রমণ করিবার জন্য বিশেষ চেষ্ঠা করিল, কিন্তু গাজবাসীর বাহুবলের কাছে, এইরূপ তিনবার চেষ্টা বিফল হইয় গিয়াছিল । কোনরূপে নগর অধিকারে কৃতকার্য্য হইতে ন৷ পারিলে, অলিকসন্দর প্রাচীরের আরো বহুস্থান ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন, কতকগুলি সৈন্য রজ্জ্ব আরোহিণী যোগে প্রাচীর আরেহণ করিয়া আক্রমণ করিল, অপর সৈন্যসহ অলিকসন্দর স্বয়ং ভগ্নস্থান দিয়া প্রবেশ করিয়া প্রচণ্ডবেগে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । নিওপ্তলিমস্ নামক একজন সহচর যোদ্ধা, সৰ্ব্বাগ্রে প্রাচীরে আরোহণ করিয়া শক্রগণকে আক্রমণ করিলেন । তাহার উদাহরণে অনুপ্রাণিত হইয়৷ বহুসংখ্যক যোদ্ধ, প্রাচীর অতিক্রমণ করিয়া নগরমধ্যে প্রবেশ করেন । ইহারা নগর দ্বার উদঘাটন করিয়াদিলে, দলে দলে অলিকসন্দরের সৈন্যগণ ঘোরতররূপে গাজাবাসীকে আক্রমণ করিতে লাগিলেন । গাজাবাসী যখন দেখিলেন, নগর রক্ষণর অণর কোন উপায় নাই, তখন র্তাহার পরাধীন হইয়া জীবনরক্ষা করা অপেক্ষা, যে যথায় ছিল তিনি একাকী হউন, বা দলবদ্ধ অবস্থায় হউন, সেই অবস্থায় অবস্থান করিয়াঅটল.অচলের ন্যায় শক্রগণকে অভ্যর্থনা করিবারজন্য অসি হস্তে দাড়াইয়া রহিলেন । এইবার যে যুদ্ধ হইল তাহ বর্ণনার