পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ ভারতে অলিকসন্দর প্রকার উৎসাহপূর্ণ বাক্য বলিয়া অলিকসন্দর সৈন্যগণকে ভোজন ও বিশ্রাম করিতে আদেশ করেন । এস্থান হইতে প্রায় দুই ক্রোশ দুরে দারা অবস্থান করিতেছিলেন। তিনি অলিকসন্দরের আগমন সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়া রহিলেন–পাছে শক্র রাত্রিতে আক্রমণ করে এই আশঙ্কায় সৈন্যগণ সমস্ত রাত্রি যুদ্ধসজ্জায় কোলাহল করিয়া অতিবাহিত করে । পামিণিও, পারসীক সৈন্যের সংখ্যার আধিক্য দেখিয়া আলিকসন্দরের কাছে রাত্রিকালে শক্র আক্রমণ করিবার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রত্যুত্তরে অলিকসন্দর বলেন “অন্ধকারের সাহায্যে চুরি করিয়া আমি জয়লাভ করিতে ইচ্ছা করি না।” অলিকসন্দর বুঝিয়াছিলেন, রাত্রি যুদ্ধে অপেক্ষাকৃত প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত উভয়পক্ষেরই বিপদাপন্ন হইবার সম্ভাবনা আছে। এরূপ যুদ্ধে শক্তিশালী ও অনেক সময় দুৰ্ব্বলের হস্তে এবং দুৰ্ব্বল ও শক্তিশালীর হস্তে নিগৃহীত হইয়াথাকে, রাত্রিযুদ্ধে দারা পরাজিত হইলে ও পুনরায় তিনি যুদ্ধ করিবার জন্য উৎসাহিত হইতে পারেন। দুৰ্ব্বল ব্যক্তিই রাত্রি যুদ্ধের অনুষ্ঠান করিয়া থাকে বিবেচনা করিয়া আলিকসন্দর এরূপ যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন নাই। বিশেষতঃ যে স্থানে যুদ্ধানল ঘোরতররূপে প্রজ্বলিত হইয়া থাকে, যে স্থানে গমন সৰ্ব্বাপেক্ষ বিপদজনক, যে স্থানে নিষ্কাশিত তরবারির চাক্‌চিক্যে চক্ষু ঝলসিয়া উঠে, এবং তাহার ভীষণ প্রহারে যে স্থান আকুলিত হইয় উঠে, আলিকসন্দর সেই ভীষণ স্থানে গমন করিয়া নিজের অতি মানুষ বীরত্ব দেখাইতে স্বভাবতঃই শিক্ষিত ; রাত্রিযুদ্ধে তাহার উদাহরণ সৈন্যগণ মধ্যে অনুক্রমিত