পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ ভারতে অলিকসন্দর । عضصصsصصصي ছিলেন। পারসীকগণকে পরাজয় করিলেও, অলিক সদর পারসীক বিলাসীতার কাছে পরাজিত হইয়াছিলেন -মানুষ বিলাসী হইলে দুৰ্ব্বল হৃদয় হইয় পড়ে, সকল সময়ে কৰ্ত্তব্য স্থির করিতে সমর্থ হয় না। ধীরে ধীরে এই সকল লক্ষণ, অলিকসন্দরে বেশ লক্ষিত হইয়াছিল। ফিলটের ঘটনার পর হইতে ; অলিকসন্দুর একজনের হস্তে সমস্ত সহচরসৈষ্ঠের ভার না দিয়া, বিভক্ত করিয়া দিলেন, এবং নিজেকে রক্ষা করিবার পক্ষে ও মনোযোগ দেন । অলিকসন্দর, কখন চিরতুষারারত পৰ্ব্বত, কখন নিবিড় অরণ্য, কখন সুপ্রশস্ত স্রোতস্বতী, কখন বা সুবিস্তৃত মরুভূমি, অবলীলাক্রমে উত্তীর্ণ হইয়া ; দেশের পর দেশ, আক্রমণ করিয়া অধিকার করিতে লাগিলেন। যে স্থানে তিনি বাধা প্রাপ্ত হইলেন, সে স্থান তাহার ক্রোধানলে ভগ্নীভূত হইয়া গেল—সমরকন্দের নিকটবৰ্ত্তী কোন স্থলে উপস্থিত হইলে, সেখানকার লোকেরা তাহার লোকের উপর কিছু অত্যাচার করে। ইহাতে সে স্থানের বহুসংখ্যক লোককে প্রাণ বিসজ্জন দিতে হইয়াছিল । যাহার নিজেদের স্থানের দুর্গমতার উপর নির্ভর করিয়া অলিকসন্দরের প্রতিপক্ষতা অবলম্বন করিল, তাহারা অবশেষে নিজেদের ভ্রম বুঝিতে পারিয়া অধীনতা স্বীকার করিয়া রক্ষা পাইল—যাহারা, অলি কসন্দর বহুদূরে অবস্থান করিতেছেন অবগত হইয় তাহার বিরুদ্ধে বিদ্রোহানল প্রজ্জ্বলিত করে, তাহাদিগকে পশ্চাৎ নিজেদের শরীর হইতে প্রচুর পরিমাণে রুধির ধারা প্রদান কন্ধিয়া, সে অনল নিৰ্ব্বাপন করিতে, হইয়াছিল। যুদ্ধ বিষয়ে, তাহার দুরাধৰ্ষ ইচ্ছ, তাহার