পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অলিকসন্দর ه لا বালক ভবিষ্যতে স্বদেশের কল্যাণকল্পে সুস্থমনে শরীর উৎসর্গ করিতে সমর্থ হইত। আমাদের দেশের সে কালের বালকের যেরূপ গুরুগৃহে অবস্থান করিয়া বিদ্যা শিক্ষা করিত, সেইরূপ সপ্তম বর্ষীয় স্পাটর্ণন বালককে তাহার পিতা মাতার নিকট হইতে আনয়ন করিয়৷ শিক্ষা প্রদান করা হইত। অন্য শিক্ষা অপেক্ষ শারীরিক শিক্ষাই তাহদের বিশেষ লক্ষ্যের বিষয় হইয়াছিল। আজ্ঞা প্রতিপালন, শারীরিক ক্লেশ সহিষ্ণুত প্রভৃতি বিষয়ে তাহারা বিশেষরূপে শিক্ষিত হইত। শীত ও গ্রীষ্মকালে তাহাদিগকে নগ্নপদে থাকিতে হইত –গাত্রাবরণের জন্য একখানি মাত্র বস্ত্র পাইত, খড়ের উপর শয়ন করিতে হইত। স্নানের জন্য তাহাদিগকে শীতল জল ব্যবহার করিতে হইত। বালকগণকে খুব তাড়াতাড়ি —অল্প পরিমাণে কদন্ন ভোজন করিতে অভ্যস্থ করান হইত। তাহার। আপন! আপনি ঘুসো ঘুসি, লাতালাতি করিয়া ক্রিড়া করিত। বালকগণ কিরূপ ক্লেশ সহিষ্ণু হইয়াছে সময় সময় তাহার পরীক্ষা করা হইত। আৰ্ত্তিমিস উৎসবে, দেবীর প্রতিমার সমক্ষে বালককে প্রহার করা হইত—ইহাতে সময় সময় প্রহৃত বালক মৃত্যুমুখে পতিত হইত –এরূপ দারুণভাবে প্রহৃত হইয়াও বালক রোদন করিত না । বালকদিগকে প্রায়ই আtহার প্রদান করা হইত না । তাহাদিগক্ষে আহার সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হইত। অtহার সংগ্ৰহ কালে যদি কোন বালক ধৃত হইত, তাহা হইলে তাহাকে বিশেষরূপে নিগৃহীত হইতে হইতু। এক সময় একটি বালক একটা শৃগাল শিশু অপহরণু করে, পাছে কেহ টের পায় এজন্য সে কাপড় ঢাকা দিয়া পেটের কাছে লুকাইয়। রাখে শৃগাল শিশু তীক্ষ নখরাঘাতে