পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উভয় পক্ষের বীরত্ব S\Lම් তৃতীয় দিবসে আবার যুদ্ধ আরম্ভ হইল—অলিকসন্দর সকলের • অগ্রবর্ত হইয়া, বিজয়বাহিনী পরিচালনা করিতে লাগিলেন—প্রাচীরের যে স্থান ভাঙ্গিয়াছিল, তাহার নিকটে যুদ্ধযন্ত্র হইতে প্রাচীরের উপর কাষ্ট সংস্থাপন করিয়া সেতু প্রস্তুত করেন—প্রাচীরের যে স্থান ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল ; সেই স্থান এবং সেতু দিয়া, তাইরি বিজয়ী সৈন্যগণ, যুগপৎ ভারতবাসীকে আক্রমণ করিবার জন্য, প্রবল পরাক্রমে ধাবিত হইল। ঘটনাক্রমে বহু মমৃষ্যের গুরুভারে, সেতু ভগ্ন হইয়া ভূপতিত হইল—মেসিদনদের এই বিপদের উপর, ভারতবাসীরা প্রাচীরের উপর হইতে অস্ত্র,শস্ত্র, তীর, প্রস্তর, প্রভূতি সে সময় যে যাহা পাইল, সে তাহ লইয়। নির্দয়রপে নিক্ষেপ করিতে লাগিল—অপর দল ক্ষুদ্রদ্বার দিয়া নিষ্ক্রাস্ত হইয়া, প্রচণ্ড পরাক্রমে আক্রমণ করিয়া, শক্রগণকে অধিকতর বিপন্ন করিয়া তুলিল। অলিকসন্দর, ব্যাপার গুরুতর বুঝিয়া, আলকিতাস নামক র্তাহার সেনাসীকে,আহত সেনাগণকে উদ্ধার করিতে এবং যুদ্ধস্থল হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে আদেশ করিলেন । চতুর্থ দিবসে যোদ্ধাগণ পুনরায় যুদ্ধের অভিনয় আরম্ভ করিলেন । অলিক সন্দর শক্রগণকে আক্রমণ করিবার জন্য প্রাচীরৈর অপরদিকে যুদ্ধযন্ত্র প্রেরণ করেন । তাহারা ইহার উপরিভাগ হইতে ভারতীয়দের উপর অবিশ্রামে অস্ত্রশস্ত্র নিক্ষেপ করিতে লাগিল’। অশ্বক অধিশ্বর, আপনার ধনধান্ত, আপনার নগর রক্ষা করিবার জন্য, প্রজাপুঞ্জকে,প্রবল শক্রর প্রচণ্ড আক্রমণ হইতে মুক্ত করিবার জন্য, সকলের অগ্রবর্তী হইয়া;-প্রাণের প্রতি মায়া মমতা বিশ্বত হইয়া, সৈন্যগণকে যে সময় পলিচালনা