পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনভিজ্ঞ লেখকের কথা । ➢õዓ অলিকসন্দর নৃশংসরুপে যোদ্ধাগণকে সংহার করিয়া নগরের উপর অকস্মাৎ আপতিত হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে যাহারা সন্ধি অনুসারে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়া নিরুদ্বিগ্নভাবে অবস্থান করিতেছিল । তাহার এক্ষণে অলিকসন্দর কর্তৃক আক্রান্ত হইয়া ৰিমূঢ় হইয়া পড়িল । বিদেশী শক্রকে বিশ্বাস করার ফল, তাহারা প্রাপ্ত হইল। অশ্বকপতির বিধবা ভাৰ্য্যা, সন্ততিসহ অলিকসন্দ- ' রের হস্তে বন্দী হইলেন । দুই একজন সেকালের লেখক, এই বিধবার উপর কলঙ্ক আরোপ করিয়া থাকেন। আমরা বৰ্ত্তমান সময়েও, তাহ বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত নহি । যাহার বীরপতি, স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করিবার জন্য, শক্রহস্তে নিহত হইয়া বীরলোক লাভ করেন—তাহার পত্নী অনতিকাল পরেই, নিজের ধৰ্ম্মশিক্ষণ-চরিত্র ও আভিজাত্যে জলাঞ্জলি প্রদান করিয়া, অজ্ঞাতকুলশীল বৈদেশিক শক্রর চরণতলে নিজের যথাসৰ্ব্বস্ব প্রদান করিবেন, ইহা ভারত রমণীর স্বভাব বিরুদ্ধ ধৰ্ম্ম, এই জন্যই ইহাতে বিশ্বাস করিতে সহজে প্রবৃত্তি হয় না। যে দেশের রমণী, স্বামীর সমাধি শুষ্ক করিবার জন্য ব্যজন প্রয়োগ করিয়া থাকে, সে দেশের পুরুষেরা সহজেই ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারেন। কিন্তু ষে দেশে রমণীগণ অম্লানবদনে জলস্ত হুতাশন মধ্যে, নিজেকে আহুতি প্রদান করিয়া থাকেন, সে দেশে ইহা, অনভিজ্ঞ শত্রুপক্ষীয় লেখকের বিজন্তিত বলিয়া ঘৃণার সহিত পরিত্যক্ত হইয়। থাকে । অলি কসন্দর, এই নগর অকস্মাৎ আক্রমণ করিফ কলঙ্কিত হইয়াছেন—-সন্ধিবন্ধন ছিন্ন করিয়া বিশ্বাসঘাতক হইয়াছেন,