পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * ভারতে অলিকসন্দর । হস্তগত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । নগরবাসীরা যে সকল হস্তীপরিত্যাগ করিয়া গমন করিয়াছিলেন । তাহ অলিক সন্দরের হস্তগত হইয়াছিল । অরার পতন সংবাদ বাজিরাবাসীরা অবগত হইলে, বাজির রক্ষা করা সুকঠিন বিবেচনা করিয়া ; একদিন গভীর রাত্রে তাহার নগর পরিত্যাগ করিয়া অরণসের দুরারোহ দুর্ভেদ্য দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন । এইরূপে, লোকবিহীন কতকগুলি লোকালয়, অলিক সন্দরের ব্যশৃ্যত স্বীকার করিয়া তাহার গৌরববৃদ্ধি করিয়াছিল । 驅 পূৰ্ব্ব দেশে অগ্রসর হইবার পূৰ্ব্বে একটি ঘটনায়, অলিকসন্দর বড় প্রীত হইয়াছিলেন । বৰ্ত্তমান কো-ই-ঘোর নামক পৰ্ব্বত, সে সময়ে নিশা নামে অভিহিত হইত। পেশওয়ার হইতে ইহার চুড়, দেখিতে পাওয়া যায়। এই ত্রিশির পর্বত গ্রীকদিগের নিশাপর্বতের অনুরূপ, বিশেষতঃ এস্থানে প্রচুর পরিমাণে দ্রাক্ষা এবং আইভিগাছ উৎপন্ন হওয়াতে, এস্থান তাহদের বড় প্রীতিপ্রদ হইয়াছিল । * অলি কসন্দর, নগরবাসীর অজ্ঞাতসারে রাত্রি কালে নগরপ্রাচীরের কাছে শিবির সংস্থাপন করেন, এস্থানের শীতের প্রকোপে সৈন্যগণ বিশেষরূপে ক্লেশ পাইয়াছিল। তাহার। কাষ্ঠ সংগ্ৰহ করিয়া অগ্নিপ্রজ্জ্বলিত করিলে, নগরের কুকুর, তাহ দেখিয়া চিৎকার করিলে, নগরবাসীরা শক্রর আগমন অবগত হয় । তাহারা প্রথমতঃ নগর রক্ষা করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়াছিল । কিন্তু ইহাতে সকলে এক মত হন নাই । অলিকসন্দর, নাগরিকগণের মত ভেদের কথা অবগত হইয়া, রক্তপাত না করিয়া নগর