পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓbo ভারতে অলিকসন্দর পিতৃ-বিয়োগ হইয়াছে, এই বৃষোৎসর্গ ব্যাপারে তাহার পিতৃপুরুষগণ কতদূর প্রসন্ন হইয়াছিলেন, তাহ জানিবার উপায় ৰাই; কিন্তু র্তাহার ইহালোকের দেবত সুপ্রসন্ন হইয়াছিলেন, একথা ইতিহাস সাক্ষ্য প্রদান করিয়া থাকে । অলিকসন্দর, সিন্ধুর তটে একমাস অবস্থান করিয়া, তাহার -পথশ্রান্ত, যুদ্ধক্লান্ত সৈন্যগণকে আরাম করিবার অবকাশ প্রদান করেন । এই স্থানে অবস্থানকালে নানাপ্রকার উৎসবের অমুষ্ঠান করিয়া তিনি সৈন্যগণকে প্রফুল্লচিত্ত করিয়াছিলেন । হিন্দুকোষ অতিক্রমণ করিয়া, সিন্ধুর তটে আগমন করিতে অলিক সন্দরের, প্রায় নয়মাস সময় অতিবাহিত হইয়াছিল । এই নয়মাসে অলিকসন্দর ও র্তাহার সৈন্যগণ যে প্রকার বিপদ-ক্লেশ ও নৈরাপ্তগ্রস্ত হইয়াছিলেন ; গৃহ হইতে বহির্গত হইবার পর হইতে, তিনি কোথায়ও ; এই সুদীর্ঘকালের মধ্যে, এরূপভাবে বিপন্ন হন নাই । ভারতের প্রান্তে, তিনি এরূপভাবে বিপন্ন হওয়াতে, ভারতের মধ্যে তিনি কিরূপভাবে গৃহীত হইবেন, সে বিষয় তাহার ঘোরতর সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছিল। তাই তিনি ক্লেশ জর্জরিত সৈন্যগণকে, তিরিশ দিন বিশ্রাম করিবার সময় দিয়া, নুতন বলে তাহাদিগকে বলীয়ান করিয়াছিলেন । ৩২৬ খৃঃপূঃ বসন্তের প্ররস্তে চৈত্রমাসের কোন এক দিবস প্রাতঃকালে, অলিকসন্দর সিন্ধুনদ অতিক্রমণ করিয়া, তক্ষশিলার রাজ্যে পদার্পণ করেন । এখন হইতে গ্ৰীকগণ, ভারতীয় মনুষ্য পশু, পক্ষী, এবং নানাজাতীয় উদ্ভিদ, দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হন । এ দেশের সভ্যতা, জাগতিক উন্নতি সাধনে সুনিপুণ গ্ৰীক সভ্যতা হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন—এদেশের সুবৃহৎ বটাদি বৃক্ষ-বলী—