পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশুও শ্রেষ্ঠ । ১৭৯ ாதய “মধুস্যন্দী” ইক্ষু “পশম” প্রদ কাপাস বৃক্ষ, ময়ুরের নৃত্য, প্রভৃতি অভিনব বিষয় দর্শন করিয়া, তাহাদিগের হৃদয় কিরূপ অপূৰ্ব্বভাবে অভিভূত হইয়াছিল, তাহা আমাদের অনুমান করা সুকঠিন । আলিকসন্দর, ময়ুর দেখিয়া এরূপ মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, যে কেহ ইহ হত্যা করিবে সে কঠিন দণ্ডে দণ্ডিত হইবে এরূপ আজ্ঞা প্রচার করিয়াছিলেন । সিন্ধুর পূর্ব পারে, অলিকসন্দর, পুনরায় তাহার দেবতার উদ্যেশে পূজা প্রভৃতি সম্পন্ন করিয়া, তক্ষশিলা অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। আম্ভি, অলিক সন্দরকে প্রত্যুদগমন করিবার জন্য, যুদ্ধ সজ্জায় সজ্জিত সৈন্যসহ নগর হইতে বহির্গত হন । অলিকসন্দর, দূর হইতে মুসজ্জিত শ্রেণীবদ্ধ হস্তী সমূহকে,গমনশীল মঞ্চ, এবং বহুসংখ্যক সৈন্য দেখিয়া আন্তি কর্তৃক প্রতারিত হইয়াছেন মনে করিয়া, তিনি তৎক্ষণাৎ সৈন্যগণকে যুদ্ধ সজ্জায় সঞ্চিত হইতে আদেশ দিয়া, শক্র আক্রমণ জন্য প্রস্তু ত হইলেন । আন্তি, অলিকসন্দরের ভ্রম বুঝিতে পারিয়া, কতিপয় সহচর সহ তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া, সমস্ত বিবরণ বিবৃত করিয়া তাহার চরণতলে শরণ গ্ৰহণ করেন। আস্তি, এই বৈদেশিকগণের ভারতভূমে পদার্পণকালে কোনরূপ বাধা প্রদান না করিয়া সাহায্য প্রদান করিলেও, আমাদের দেশের পশুরাও কিন্তু তাহার ঘৃণিত উদাহরণ অনুসরণ করে নাই। তাহার নিজের সামর্থ অনুসারে স্বদেশ রক্ষা করিবার জন্য, অলিফসন্দরের প্রতিকুলে দাড়াইতে কিছুমাত্র ভীত হয় নাই । বলেন, অলিকসন্দর যখন সৈন্যগণু সহ অগ্রসর হইতেছিলেন, তখন বনের বানরেরা, মাসিদনপতির গতিরোধ j Jo