পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉b ● ভারতে অলিকসন্দর করিবার জন্য, পাহাড়ের উপরিভাগে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া যুদ্ধ সজ্জায় সজ্জিত হইয়াছিল। ইহাদিগকে দেখিয়া, বৈদেশিক সৈন্যগণ মধ্যে বেশ আতঙ্কের সঞ্চার হইয়াছিল । অলিকসন্দর, ইহাদিগকে যুদ্ধ করিবার জন্য উপস্থিত দেখিয়া, তিনিও সৈন্যগণকে, তাহাদিগকে আক্রমণ করিবার জন্য, আদেশ প্রদান করেন। পরে অস্তির কথায়, তাহার ভ্রম অপনোদন হয়। অলিকসন্দরের ভ্রম দূর হইয়াছিল বটে, কিন্তু আমির ভ্রম দূর হয় নাই,স্বদেশ রক্ষা করা পুরুসের অবশ্য কৰ্ত্তব্য এ উপদেশ, আস্তি বানরের নিকট প্রাপ্ত হইয়াও, তাহা গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় নাই । বৰ্ত্তমানকালে, সেই সুপ্রাচীন তক্ষশিলার ভগ্নাবশেষ,বহুক্রোশ ব্যাপ্ত হইয়া পতিত রহিয়াছে। যে নগরী, দশরথ তনয় ভরত, প্রতিষ্ঠা করিয়া স্বীয় পুলের নামে নামকরণ করেন । যে নগরীতে মহারাজ জনমেজয় নাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া নাগবংশ নিৰ্ব্বংশ প্রায় করিয়াছিলেন, যে নগরীতে জনমেজয়ের সম্মুখে, ঋষিগণ মধ্যে মহাভারতের প্রথম প্রচার হইয়াছিল,—যে নগরীর বিশ্ববিশ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাণিনি,জীব ক,চাণক্য প্রভৃতি ছাত্রগণ অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, যথায় অধ্যয়ন করিবারজন্য বারাণষী প্রভৃতি সুদূর স্থান হইতে ছাত্ৰগণ বহুক্লেশে গমন করিতেন, সে নগরী এক্ষণে কয়েকঘর হিন্দুবণিক ব্যতীত, সমস্ত ভুমি মুশলমানগণ কর্তৃক অধিকৃত হুইয়ারহিয়াছে। যে উন্নত পাহাড়ের উপর পুরাকালে রাজপ্রাসাদ প্রতিষ্ঠিত ছিল, সে স্থান এক্ষণে কৃষকের হল সংযোগে কৰ্ষিত হইতেছে। পাঠক ইহার উপরিভাগ হইতে যদি চতুর্দিকের দৃশ্য অবলোকন করেন, তাহা হইলে, এখনও