পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b"8 ভারতে অলিকসন্দর নাই । তাহারা, নাগরিকগণকে পাদদেশ পর্ষ্যস্ত আবৃত, অতি উৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ ধারণ করিতে দেখিয়াছিল,—তাহাত্মা বৰ্ত্তমান কালের ন্যায় পাকড়ি ব্যবহার—নান প্রকার কারুকার্য্য শোভিত চৰ্ম্মপাদুকা— ( ইহার তলায় পুরুচামড়া থাকায় পরিহিত ব্যক্তিকে একটু উচু দেখাইত) ব্যবহারকরিত। ধনবানের কর্ণেকুণ্ডল,হস্তে সুবর্ণবলয়, ধারণ করিত। তাহারা মস্তকে দীর্ঘকেশ রক্ষা করিত, তাহা প্রায়ই কৰ্ত্তন করিত না ; এজন্য সৰ্ব্বদা কঙ্কতিক ব্যবহার করিত। কেহ কেহ দাড়ি রাখিয় তাহ নানারঙ্গে রঞ্জিত করি ত । বর্তমানকালের ন্যায়, কেহ বা সমস্ত দাড়ি কাটিয়া,চিবুকের কাছে কিছু রাখিয়া দিয়া বাহার বাহির করিত। রাজার জাক জমক ও বাহা আড়ম্বর, গ্রীকবাসীর চক্ষে বিসদৃশ বোধ হইয়। থাকিবে –রাজ যখন বাহির হইতেন, তখন র্তাহার গমন পথ, সুগন্ধি দ্রব্যে আমোদিত করা হইত। র্তাহার অনুচরগণ রজত দণ্ড ধারণ করিয়া অনুগমন করিত। রাজা চতুদিকে মুক্তাজড়িত সুবর্ণময় পান্ধীতে আরোহণ করিয়৷ গমন করিতেন। সুবর্ণ ভূষিত অতি উৎকৃষ্ট বস্ত্রে তাহার অঙ্গাভরণ প্রস্তুত হইত। পান্ধীর পশ্চাদভাগে অস্ত্রধারী অমুচরগণ অনুসরণ করিত। ইহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বৃক্ষ শাখায় পক্ষী লইয়া গমন করিত। সেই সকল শিক্ষিত পক্ষী নানাপ্রকার সুমধুর শব্দ করিয়া শ্রোতৃবর্গের কার্য্যের ব্যাঘাত সম্পাদন করিত । ৮ রাজ ভবন সকল সময় সাধারণের নিকট উন্মুক্তদ্বার ছিল । রাজা যে সম{ে বস্ত্র পরিধান, অথবা কেশ প্রসাধনে নিযুক্ত থাকিতেন, সে সময়ও তিনি অভিযোক্তার আবেদন শ্রবণ করিতেন । রাজভবনের .