পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডীর উত্তর । 〉b-a এই রাজভক্তির ফলে, সমস্ত ব্রাহ্মণ সমাজে নিন্দিত ও ধিক্কত হইয়াছিলেন । অলিকসন্দর, ব্রাহ্মণ সমাজের শীর্ষস্থানীয় মহামতি দণ্ডীকে, তাহার কাছে আনিবার জন্য অনিসিক্রিতসকে প্রেরণ করেন। তিনি দণ্ডীর কাছে গিয়া বলেন “যুপিটারের পুত্র মনুষ্যজাতির অধিশ্বর সম্রাট অলিক সন্দর,—তোমাকে তাহার কাছে শীঘ্ৰ যাইবার জন্য আদেশ করিয়াছেন ;–র্তাহার কাছে উপস্থিত হইলে, তিনি তোমাকে বহুল পুরস্কার প্রদান করিবেন।—যদি না ৰাও এই অবমাননার জন্য তোমার মস্তক স্কন্ধচু্যত হইবে।” তৃণশয্যায় শায়িত মহামতি দণ্ডীর কর্ণে, এই কথা প্রবেশ করিলে, তিনি শরীর পরিবর্তন না করিয়া ঈষৎ হাস্য করিয়৷ প্রত্যুত্তরে বলিলেন, “মহামহিমান্বিত পরমেশ্বরের দ্বার জগতে কাহারও অনিষ্ট হইতে পারে না—মৃত্যুমুখে পতিত হইলে তিনি সকলকে জীবন প্রদান করিয়া, পুনর্জীবিত করিয়া থাকেন । তিনিই আমার পরমেশ্বর, তিনি কখন হত্যার প্রশ্রয় বা যুদ্ধের প্রবর্তন করেন না । তোমার অলিকসন্দর কিছু পরমেশ্বর নহেন, তাহাকেও একদিন মরিতে হইবে । যিনি এখনও তীব্রবহা ( Tyberobos ) নদীর তট পর্য্যন্ত গমন করিতে সমর্থ হন নাই, যিনি এখনও গাধি ( Gades ) রাজ্যের (কান্তকুজদেশ ) সীমান্ত প্রদেশ অতিক্রমণে সমর্থ হন নাই, তিনি কেমন করিয়া বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হইতে ইচ্ছা করেন ? আকাশ মণ্ডলে সুর্য্যদেব কোন পথ অবলম্বন করিয়৷ গমন করেন, যিনি এখনও তাহ অবগত হইতে সমর্থ হয় নাই, যাহার নাম, এখনও কত শত মনুষ্যঞ্জাতির শ্রুতিগোচরও হয় নাই ; সে কোন সাহসে নিজেকে সৰ্ব্বজন স্বামী বলিতে সাহসী হয় ?

  • A.