পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবৰ্ণ প্রীতি ব৷ মৃত্যু ভীতি নাই। ১৮৯ আজ্ঞানুবৰ্ত্তী থাকি কি না, ইহা পরীক্ষা করিবার জন্য, তিনি আমাদিগকে পৃথিবীতলে প্রেরণ করিয়াছেন ; • আবার ইহ জীবনের অন্তে, তিনি আমাদিগের সমস্ত কার্য্যের বিচারক । পীড়িতের আর্তনাদ ও দীর্ঘনিশ্বাসই, পীড়াদায়কের শাস্তি স্বরূপ হইয়া থাকে । আমি যখন আমাদের সেইপ্রধান বিচারকের পাশ্বে দাড়াইয়া অামাদের এই বিচার দেখিব, তখন আমি শান্তিলাভ করিব।” “তুমি তোমার অলিক সন্দরকে গিয়া বলিও, যাহার সুবর্ণ আকাজক্ষা করিয়া থাকে, যাহারা সম্পত্তিলাভের জন্য, অকার্য্যকে কার্য্য বলিয়া গ্রহণ করিয়৷ থাকে ; অথবা যাহারা মৃত্যুভয়ে সৰ্ব্বদাই ভীত ; তাহারাই তোমার এই ভীতি প্রদর্শনে বিভীষিক|গ্রস্ত হইতে পারে । ব্রাহ্মণের সুবর্ণপ্রীতি নাই, সুতরাং মৃত্যুভীতি তাহাদিগকে অবসন্ন করিতে কখনই সমর্থ হয় না। তুমি অলিকসন্দরকে গিয়া বলিলে যে, দণ্ডী তোমার নিকট হইতে রতীমাত্র জিনিষের অকজফ রাখেন ; সুতরাং সে কখনই তোমার নিকট গমন করিবে না ; তোমার যদি দণ্ডীর নিকট কিছু প্রার্থনা থাকে, তাহা হইলে তুমি তাহার নিকট আগমন করিতে পার ।” h জীবনমুক্ত দণ্ডার, এই উত্তর শ্রবণ করিয়া অবধি, অলিকসন্দরের দণ্ডী দর্শন বাসনা অত্যন্ত বেগবতী হইয়াছিল । দণ্ডী দর্শনের জন্য অলিকসন্দর, বনভূমিতে গমন করিয়াছিলেন । অবশেষে দণ্ডীর দর্শন লাভ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন । গ্রীক ম্যাগাস্থিনিস লিখিয়াছেন, স্মৃলিকসন্দর, অনিসিক্রুেতিসের মুখে দণ্ডীর উত্তর প্রাপ্ত হইয়া, তাহাকে দেখিবার জন্য অত্যন্ত