পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯০ ভারতে অলিকসন্দর । উৎসুক হইয়াছিলেন । এই দিগম্বর বৃদ্ধের কাছে, নানাজাতি বিজয়ী মহাবাহু অলিকসন্দর, অবশেষে পরাভব স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । অলিক সন্দরের কাছে অস্তির ক্ষাত্র তেজ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইয়া পদদলিত হইলেও, কিন্তু ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণের পদতলে ইয়ুরোপীয় বীরকুলের অগ্রগণ্য জশ্বিজেত। অলিকসন্দরের দপ—অহঙ্কার চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। যে দেশের ব্রাহ্মণরা অগ্নিতে প্রবেশ করিয়া জনগণ হৃদয় হইতে মৃত্যুভয় দূর করিয়া দিতেন ; আস্তি সেই দেশের লোক হইয়া, যবন নৃপতির একটু ধন্যবাদ লাভের জন্য কত শত স্বদেশবাসীর মৃত্যুর কারণ স্বরূপ হইয়াছিলেন । যে দেশবাসী অর্থকে আনর্থের কারণ বিবেচনা করিয়া দূরে তাহ ঘূণার সহিত পরিত্যাগ করিতেন, হায় ! আস্তি সেই অর্থ লালসায় বিদেশীর পদতলে লুষ্ঠিত হইয়া স্বচ্ছন্দে তিনি স্বাঞ্জাতি ধ্বংস করিয়া স্বাধীনতারত্নে জলাঞ্জলি প্রদান করেন । নগরে যে সকল বাহ্মণের বাস করিতেন, তাহাদিগের মধ্যে অনেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রের অনুশীলন করিতেন। “র্তাহারা গ্ৰহ নক্ষত্রের গতি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া বৈজ্ঞানিক প্রথায় ভবিষ্যৎ ঘটনা সকল গণনা করিতেন।” গ্রীকগণ, ইহারা মুধু কেন, পৃথিবীর অন্যান্য জাতীরা যখন সভ্যতার প্রথম সোপানেও আরোহণ করেন নাই, তাহীদের সভতার সেই অতি শৈশবকালে আমাদের ভারতবর্ষে আমাদের পূৰ্ব্বঙ্গের, জ্যোতিষ শাস্ত্র বিষয়ে যথেষ্ট উন্নতিলাভ করিয়াছিলেন । সেকুলে আমাদের পূৰ্ব্বজগণের পদপ্রান্তে উপবেশন করিয়া পৃথিবীর অঙ্গন্ত জাতি এই শাস্ত্র অধ্যয়ন করিত। উদার প্রকৃতির ব্রাহ্মণগণ, গুণবান