পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ. δ 8 ভারতে অলিকসন্দর । করিবে । তাহ হইল না—দেখিলেন সকলে আস্তির ধাতুতে গঠিত হয় নাই । তাহার প্রবল প্রতাপকে তুচ্ছ করিয়া ভারতবাসীরা তাহাকে বাধা দিবার জন্য নদীর অপর তটে যেন নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়া অবস্থান করিতেছে । সৈন্য শ্রেণীর মধ্য হইতে হাওদা সহ দুইশত হস্তী, যেন সমুন্নত শোধ শিখরকে অনুকরণ করিয়াছে। ঘোটক চতুষ্টয় বাহিত, তিনশত রথ, যেন অলিকসন্দরের সৈন্যগণকে প্রতিস্পধর্ণকরিয়া চতুর্দিকে গমনাগমন করিতেছে, ৩০ ১০ ০ পদাতিক,যেন ভারতের সম্মান সংরক্ষণ জন্য,আটল অচল প্রাচীরের ন্যায় দুর্ভেদ্য হইয়া রহিয়াছে । পুরুর প্রায় সৰ্ব্বশুদ্ধ পঞ্চাশ হাজার সৈন্য, বিজয় অথবা মৃত্যুর জন্য কৃত নিশ্চয় হইয়া নদীর অপর পারে অবস্থান করিতেছিল। শীঘ্রবহ সুবিস্তৃত বিতস্তা, যেন পুরুর সহিত মিলিত হইয়া, অলিকসন্দরের গমনপথে বাধাপ্রদান করিবার জ , সৰ্ব্বতোভাবে চেষ্টা করিতেছিলেন ;–পদাতিক অশ্বারোহী ও হস্তী সহ মিলিত ইহার দুরারোহ তট, আগন্তুক গণের হৃদয়ে নৈরাপ্ত উৎপাদন করিল –নদীমধধ্যে নিমজ্জিত পাষাণ সকল যেন, গুপ্ত ভাবে অবস্থিত সৈন্যগণের ন্যায়, শক্র আক্রমণের জন্য সময় প্রতীক্ষ। করিতেছিল। অলিক সন্দর, পুরুর ভয়াবহ হস্তীযুগ সহ সৈন্যগণ অপেক্ষা, সুবিস্তীর্ণ বিতস্ত দেখিয়া ইহার পরপারে কিরূপে গমন করিবেন, সেই চিন্তাতে বিশেষরূপে অবপন্ন হইয়া পড়েন। তিনি যে নৌকা আনয়ন করিয়াছেন ; বিপক্ষ সৈন্তের সম্মুখে তাহাতে পার হওয়া আর বৈতরণীর অপর পারে গমন করা উতয়ই তুল্য। অলিকন্দর যে স্থানে শিবির সংস্থাপন করিয়াছিলেন, ঠিক তাহার অপর পারে পুরুর শোভায়মান শিবির সন্নিবেশিত হইয়াছিল।