বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমাদের শাখা।
১৫

কিন্তু তাহাদিগকে “ম্যালেরিয়ায়” প্রপীড়িত হইতে হইয়াছিল, এ কথা আমরা অবগত আছি।


দ্বিতীয় অধ্যায়

 এসিয়াবাসীর সহিত ইয়ুরোপবাসীর অহিনকুল সম্বন্ধ। অতি প্রাচীনকালে আমাদের এই জম্বুদ্বীপের অধিবাসীরা, অসভ্য ইয়ুরোপীয়দিগকে পরাজয় করিয়া, তাহাদের দেশ অধিকার করেন। সেই সকল ইয়ুরোপজেতাদিগের ভাব ও ভাষা অনুশীলন করিয়া বর্ত্তমান কালের ইয়ুরোপীয় পণ্ডিতেরা বিবেচনা করেন তাহারা আমাদের আর্য্য জাতির একটি শাখা। বহুদিন আমাদের সঙ্গভ্রষ্ট এবং অদর্শন জন্য তাহারা ম্লেচ্ছত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে। এ কথা ভগবান মনুর সময় হইতে বর্ত্তমান কালেও আলোচিত হইয়া থাকে। তাহারা আমাদের এসিয়াবাসীর সন্তান সন্ততি হইলে ও কিন্তু তাহারা আমাদিগকে অসভ্য, বর্ব্বর প্রভৃতি আখ্যায় সম্বোধন করিতে ভুলিয়া যাইত না, বা অবকাশ পাইলে আমাদের দেশ জয়, আমাদের প্রতি অত্যচার করিয়া এসিয়াবাসীকে ধ্বংস করিতে পশ্চাৎ পদ হইত না ও হয় নাই। অপর পক্ষে এসিয়াবাসীরাও পতঙ্গপালের ন্যায় অসংখ্য দলে বিভক্ত হইয়া ইয়ুরোপ খণ্ডকে ব্যতিব্যস্ত করিয়াছে, আটলাণ্টিকের তট পর্য্যন্ত ভূভাগ অধিকার করিয়াছে, জ্ঞান বিতরণ করিয়া ইয়ুরোপের বর্ত্তমান সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করিয়াছে।

 পারস্যপতি জারেকসার্সের গ্রীস আক্রমণের পর হইতে গ্রীকগণের হৃদয়ে বৈরনির্য্যাতন স্পৃহা স্থান লাভ করে। এই